রোহিঙ্গাদের অনিরাপদ নৌযাত্রা নতুন ঘটনা নয়: জাতিসংঘ
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে ফিশিং ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পাশে থাকবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। উদ্ধারকৃতদের খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা বা যেকোনো সহায়তায় এগিয়ে আসতে প্রস্তুত রয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক প্রেস বার্তায় প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে আইওএম ও ইউএনএইচসিআর।
কক্সবাজারে অনিয়মিত ও অনিরাপদ নৌযাত্রা নতুন কোনো ঘটনা নয় জানিয়ে প্রেস বার্তায় আরও জানানো হয়, আইওএম, ইউএনএইচসিআর এবং জাতিসংঘের সকল সংস্থা ও অন্যান্য এনজিও এই ঘটনায় গভীরভাবে দুঃখিত। রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশি জনগণ উভয়েই বিভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে এই ঝুঁকি নিয়ে থাকেন। সাগরপথে অনিরাপদ ভ্রমণের কথা বিবেচনা করে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকার উভয় জনগোষ্ঠীর সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে আসছে।
আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছি যেন পাচার রোধ করা যায় ও এর ঝুঁকিতে মানুষকে এর হাত থেকে রক্ষা করা যায়। মানবপাচার থেকে উদ্ধারকৃতদের জন্য কক্সবাজার জেলায় বিভিন্ন সহায়তার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ১২০ জন রোহিঙ্গা নিয়ে টেকনাফের নোয়াখালীপাড়া সাগর তীর দিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা করে ফিশিং ট্রলার। এরপর মঙ্গলবার ভোরে সেন্টমার্টিন উপকূলে গিয়ে সেটি ডুবে যায়। পরে কোস্টগার্ড ১৫ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করে। ৭২ জনকে জীবিত উদ্ধার করে।