সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৯ পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা



নুরুল হক, উপজেলা করেসপেন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টেকনাফ (কক্সবাজার)
পুলিশের নিকট আটক আট মানবপাচারকারী

পুলিশের নিকট আটক আট মানবপাচারকারী

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিনের নিকটে মালয়েশিয়াগামী একটি ট্রলার ডুবিতে ১৫ জনের প্রাণহানির ঘটনায় ১৯ মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে টেকনাফ মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন টেকনাফ কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার এস এম ইসলাম।

টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়া পাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ আলমকে (২৮) প্রধান করে ১৯ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করে মামলা করেন কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট।

বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, সাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলার ডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় কোস্টগার্ড বাদি হয়ে একটি মামলা রুজু করেছে। এই মামলার ৮ জন আসামিকে আটক করে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত মৃত দেহগুলো ময়না তদন্ত শেষে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া উদ্ধার ভিকটিমদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মানব পাচার রোধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। মানব পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। তবে মানব পাচার ঠেকাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় প্রচারণা চালানো হবে এবং পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশ মাঠে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

আটক পাচারকারীরা হলেন, টেকনাফ নোয়াখালী পাড়ার ট্রলার মাঝি ফয়েজ আহম্মদ (৪৮) একই এলাকার হুমায়ুন কবির (২০), মোহাম্মদ আজিজ (৩০), মোহাম্মদ করিম (৪৯), সৈয়দ আলম (২৭), জুম্মা পাড়ার সাদ্দাম হোসেন (২০), মো. রফিক (২৬) ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওসমান (১৭)।

অপর আসামীরা হলেন, টেকনাফের বাহারছড়া নোয়াখালী পাড়ার মো. আজিজ, ফয়েজ আহাম্মদ, মো. করিম, জুম্মা পাড়ার সাদ্দাম হোসেন, মো. রফিক, আব্দুস সালাম, সাইফুল ইসলাম, কোনার পাড়ার মো. হোছন, কচছপিয়ার মো. আয়ুব, জাফর আলম, আব্দুর রহিম, বাঘগোনার নুরুল ইসলাম, ফ্রিস ভাঙ্গার সৈয়দুল হক, টেকনাফ সদরের মিঠাপানির ছড়ার ইউনুচ ওরফে ইউনুচ মাঝি, হাবির ছড়ার মো. সালাম, রাজার ছড়ার হুমায়ুন কবির, উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ডি/৬৪ ব্লকের মো. ওসমান, সাবরাং পানছড়ি পাড়ার আব্দুল গফুর ওরফে ইসমাইল।

পুলিশ সূত্রে জানায়, সাগরপথে মালয়েশিয়াগামী যাত্রীবাহি একটি ট্রলার সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি পাথরের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৭২ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

এদিকে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. সোহেল রানা বলেন, বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় মো. আব্দুল্লাহ নামক এক যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর আগে ১৫ জন মৃত এবং ৭২ জনকে জীবিত করা হয়েছিল। জাহাজ, হেলিকপ্টার, স্পীড বোট ও ট্রলার নিয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে টেকনাফের নোয়াখালীয়া পাড়ার উপকূল দিয়ে অবৈধ ভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি এলাকায় পাথরে ধাক্কা লেগে পানিতে ডুবে যায় ১৩৮ জন বহনকারী একটি ট্রলার। এসময় ট্রলার যাত্রী আব্দুল ৯৯৯ নম্বরে কল করে বাঁচার আকুতি জানানোর পর কোস্ট গার্ড উদ্ধার অভিযানে যায়। এতে বুধবার বিকেল পর্যন্ত মৃত এবং জীবিত ৮৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাকি অর্ধশত এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;