দুইদিনেও সন্ধান মেলেনি ৫০ রোহিঙ্গার
মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গাদের নিয়ে সাগরপথ পাড়ি দেয়ার সময় কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন উপকূলে ডুবে যায় একটি ফিশিং ট্রলার। এ ঘটনায় ১৫ রোহিঙ্গার মরদেহ ও ৭৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনী। কিন্তু ফিশিং ট্রলারে থাকা আরও অন্তত ৫০ রোহিঙ্গার সন্ধান মেলেনি দুইদিনেও।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে কোস্টগার্ড ও পুলিশ জানায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে টেকনাফের নোয়াখালীয়া পাড়াঘাট দিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ট্রলারে উঠে ১২০ জনের বেশী রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে বেশীরভাগই নারী। দালালদের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন উপকূল পাড়ি দিতে গিয়ে ট্রলারটি ডুবে গেলে ভাসমান অবস্থায় ১৫ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনী। একই সঙ্গে আরও ৭৩ রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে ওই ট্রলারে আরও অন্তত ৫০ রোহিঙ্গা ছিল। কিন্তু নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তাদের হদিস মিলেনি।
কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. সোহেল রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৫ জন মৃত এবং ৭৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে ওই ফিশিং ট্রলারে আরও ৫০ জন রোহিঙ্গা ছিল। তারা সবাই এখন নিখোঁজ। তাদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের দুইটি জাহাজ, স্পিড বোট ও ট্রলার নিয়ে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বার্তা২৪.কমকে বলেন, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ১৯ মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের আটকে অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন ওসি।
উল্লেখ্য যে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে কক্সবাজার সেন্টমার্টিন উপকুলে ডুবে যায় একটি ফিশিং ট্রলার। ওই ট্রলারে ১২০ জনের বেশী রোহিঙ্গা ছিল বলে ধারণা স্থানীয় প্রশাসনের। তারা সবাই উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের অস্থায়ী বাসিন্দা। তাদের মধ্য থেকে ১৫ জনকে মৃত ও ৭৩ জনতে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।