কল-কারখানার বর্জ্যে আবর্জনার ডাম্পিং শীতলক্ষ্যা



সাবিত আল হাসান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
শীতলক্ষ্যা এখন আবর্জনার ডাম্পিং জোন/ছবি: বার্তা২৪.কম

শীতলক্ষ্যা এখন আবর্জনার ডাম্পিং জোন/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শীতলক্ষ্যা আর নারায়ণগঞ্জ নাম দুটি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য এই শীতলক্ষ্যা নদীকে ঘিরেই খ্যাতি লাভ করেছে। এখনও এই নদীকে কেন্দ্র করে জীবিকা নির্বাহ করে লক্ষাধিক মানুষ। কিন্তু দূষণ, আবর্জনা আর দখলের কবলে পড়ে শীতলক্ষ্যা নদী মুমূর্ষু রোগীতে পরিণত হয়েছে। পুরো শহরের প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি করা এই নদী এখন আবর্জনার ডাম্পিং জোন।

খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপত্তি হওয়া এই শীতলক্ষ্যায় নেই পূর্বের মতো প্রবল স্রোত। নদীর দুপাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা। এ সকল প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য শোধনাগারের (ইটিপি) মাধ্যমে নিষ্কাশন করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ কারখানায় তা মানা হচ্ছে না। জেলা পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৩০০টি প্রতিষ্ঠানে ইটিপি রয়েছে। কিন্তু ইটিপি পরিচালনায় কারখানা মালিকদের অনীহা প্রবল। ফলে সুযোগ পেলেই পরিশোধন ছাড়াই বর্জ্য বিভিন্ন খাল-নালা থেকে সোজা মিশছে শীতলক্ষ্যায়।

নদী পাড়ে বাতাসের বদলে ভেসে আসে উৎকট গন্ধ

সরজমিনে দেখা যায়, নদী পাড়ে দাঁড়ালে বিশুদ্ধ বাতাসের বদলে ভেসে আসছে উৎকট গন্ধ। বর্ষায় নদীর পানি কিছুটা পরিষ্কার হলেও শীতে ধারণ করে কুচকুচে কালো রঙে। শহরসহ শহরতলীর অধিকাংশ ড্রেন ও ক্যানেলের শেষ গন্তব্য শীতলক্ষ্যায়। এসব ড্রেন ও ক্যানেল দিয়ে বর্জ্য সোজা মিশে যাচ্ছে নদীর সঙ্গে। এছাড়া নদীর পাড়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আড়তের আবর্জনার স্তূপ। নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল ঘাট সংলগ্ন ওয়াকওয়ের সন্নিকটে গেলেই দেখা যায় শীতলক্ষ্যা দূষণের এমন ভয়াবহ চিত্র। একদিকে দূষিত হচ্ছে নদী অন্যদিকে নদীর দুইপাশ ডকইয়ার্ডসহ বিভিন্ন স্থাপনায় দখল হয়ে ক্রমশই সরু হচ্ছে নদী।

শীতলক্ষ্যা পূর্ব পাড়ের বন্দর উপজেলার বাসিন্দা সামিউল ইসলাম বলেন, ছোট বেলায় এই শীতলক্ষ্যায় গোসল করতাম নিয়মিত। আর এখন এই পানি পায়ে লাগলেও পা চুলকায়। প্রায় ২৫ বছর ধরে চাকুরির সুবাদে নদী পার হই প্রতিদিন। আর দিনে দিনে শীতলক্ষ্যা যেন প্রতিদিনই আরও নোংরা হচ্ছে। কয়েকবছর পূর্বের চিত্র আর এখনকার চিত্র মেলাতে অনেক কষ্ট হয়।

 শীতলক্ষ্যা যেন প্রতিদিনই আরও নোংরা হচ্ছে

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, নদী রক্ষার আইন থাকলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে শীতলক্ষ্যা তার যৌবন হারাচ্ছে। অথচ এই শীতলক্ষ্যাই ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পুরো নারায়ণগঞ্জকে দেশের ধনী জেলা তৈরিতে অবদান রেখেছে। আর মানুষ অকৃতজ্ঞের মতো নদীকে গলা টিপে মেরে ফেলছে।

সম্প্রতি গত ৭ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নদী রক্ষা কমিটির আয়োজিত এক সভায় নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের নদীগুলো বাঁচাতে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তদারকি ও কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টিই পারে নদী গুলোকে দূষণমুক্ত ভাবে প্রবাহমান রাখতে। ইতোমধ্যে নদীগুলোর ব্যাপারে সরকার টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটি নদী রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। কোথাও নদী দখলের খবর পেলে এই কমিটিকে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার নদী বাঁচাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

অপরিশোধিত বর্জ্য ও কেমিকেলের পানিই শীতলক্ষ্যা দূষণের মূল কারণ

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শক মইনুল হক বলেন, শিল্প-কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য ও কেমিকেলের পানিই শীতলক্ষ্যা দূষণের মূল কারণ। নারায়ণগঞ্জের সকল শিল্প-কারখানায় ইটিপি নেই। যে সকল প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তারাও ব্যবহার করেনা। এ সকল প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য আমাদের জনবল খুবই কম। এছাড়াও মোবাইল কোর্টের জন্য আমাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট নেই। ঢাকা থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আসলে তখন ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান পরিচালনা হয়। একটি সংস্থার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের এই সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধান করা এক প্রকার অসম্ভব। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে শীতলক্ষ্যা সহ দেশের সকল নদীই পারে তার সত্যিকারের রূপ ফিরে পেতে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;