রক্ষকই যখন ভক্ষক!

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মৌলভীবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজকান্দি বনরেঞ্জের কামারছড়া এলাকায় সংরক্ষিত বনে অবাধে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ

রাজকান্দি বনরেঞ্জের কামারছড়া এলাকায় সংরক্ষিত বনে অবাধে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বনরেঞ্জের কামারছড়া এলাকায় সংরক্ষিত বনে অবাধে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। এখানে রক্ষকই যেনো ভক্ষকের ভূমিকায় নেমেছেন। অসাধু বন কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রতিদিনই এ বন থেকে গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে বনের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, বন থেকে পাচার হওয়া কাটা গাছের গোড়ালি সাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। একই সঙ্গে পাচার হচ্ছে সামাজিক বনায়নের মূল্যবান গাছ।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানান, এ বনের কালিছালিসহ বিশাল এলাকার সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবাড় করছে চিহ্নিত বন খেকোরা। তারা বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বনের মূল্যবান বৃক্ষগুলো কেটে পাচার করছে। কালিছালি এলাকা থেকে আকাশি, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেওয়ায় টিলাগুলো বৃক্ষশুন্য হয়ে পড়ছে।

পাচার হওয়া কাটা গাছের গোড়ালি

সংরক্ষিত বনের পাশাপাশি সামাজিক বনায়ন থেকে গাছ পাচার অব্যাহত থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই পুরো এলাকা বৃক্ষশুন্য হয়ে পড়বে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন।

বিজ্ঞাপন

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কামারছড়া বনবিট কর্মকর্তা মীর বজলুর রহমান বলেন, বনে বর্তমানে কোনো গাছ কাটা হচ্ছে না। আগের দু’একটি গাছ কাটা থাকতে পারে। এসব বিষয়ে মামলাও হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিট কর্মকর্তা বলেন, সামাজিক বনের গাছ কাটার বিষয়টি তার জানা নেই।

এ বিষয়ে রাজকান্দি বনরেঞ্জ কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, কামারছড়া সামাজিক বন এলাকায় ইতিপূর্বে যে কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে সেগুলোর মামলা হয়েছে।

কাঠ পাচারে বনবিট কর্মকর্তা জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সংশ্লিষ্ট কেউ কাঠ পাচারে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।