এখনও পলাতক কাজী আরেফ হত্যার ৫ আসামি
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি জামিন নিয়ে ১২ বছর ধরে পলাতক রয়েছেন।
১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ব্রাশফায়ার করে খুন করা হয় কাজী আরেফসহ ৫ নেতাকে। ২১ বছর আগের ওই হত্যাকাণ্ডে ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
২১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্মরণ করা হচ্ছে কাজী আরেফকে।
এক যুগ ধরে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি।
১৯৯৯ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে সন্ত্রাসীরা ব্রাশফায়ারে কাজী আরেফকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় নিহত হন জেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভকেট ইয়াকুব আলী, স্থানীয় নেতা ইসরাইল হোসেন তফসের ও শমসের মন্ডল।
ওই মামলায় ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট আদালত ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আসামিদের আপিলের পর ২০০৮ সালে ৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কারাগারে ১ আসামির মৃত্যু হয় এবং ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তবে জামিন নিয়ে এখনও পলাতক রয়েছেন মান্নান মোল্লা, জালাল উদ্দিন ওরফে বাশার, বাকের, রওশন এবং জীবন।
কাজী আরেফের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীদের অভিযোগ, দণ্ডপ্রাপ্তরা ভারত থেকে মাঝে মাঝেই এলাকায় আসলেও তাদের গ্রেফতারে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই।
পলাতক আসামিদের গ্রেফতার ও দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি নিহতদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের।
কাজী আরেফ জাসদের মুখপত্র গণকণ্ঠ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে জাসদের কৃষক সংগঠন জাতীয় কৃষক লীগের সভাপতি এবং ১৯৭৯ সালে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে তিনি জাসদ কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়ামের সদস্য নির্বাচিত হন। এরশাদের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সময় গ্রেফতার হন এবং ১৯৮৮ সালের ৩১ মার্চ মুক্তি পান। ১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতাকারীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।