টেকনাফ বন্দরে জানুয়ারিতে ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়
মিয়ানমারের থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দরে গত জানুয়ারি মাসে পেয়াঁজ আমদানির পাশাপাশি শুঁটকি ও হিমায়িত মাছ আমদানি করে সাড়ে ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব আদায়ের এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন।
তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের গত জানুয়ারি মাসে ৬২৯টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ২০ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৩ কোটি ৫৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। যা মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বেশি আদায় হয়। এতে মিয়ানমারের পণ্য আমদানি হয়েছে ১৪৭ কোটি ৮৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকার।
তার মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিক টন। তবে পেয়াঁজ থেকে কোনো রাজস্ব আদায় হয় না। এতে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় হয় ১ হাজার ৪৬১ মেট্রিক টন শুঁটকি মাছ থেকে ১১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং ৭৮০ মেট্রিক টন হিমায়িত মাছ থেকে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা।
এ মাসে শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে ২ হাজার ৯৫৮টি গরু, ১ হাজার ৮১০টি মহিষ ও ৪টি ছাগল আমদানি করে ২৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮শত টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
অপরদিকে মিয়ানমারে রফতানি হয়েছে ৪৯টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১ কোটি ৮১ লাখ ৩১ হাজার টাকার দেশি পণ্য। এতে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা মূল্যের সর্বোচ্চ ১৭৮ মেট্রিক টন টিশার্ট।
তিনি আরও বলেন, গত মাসে পেঁয়াজ আমদানির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য আসায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে। তবে আমদানি ও রফতানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
এদিকে সীমান্ত বাণিজ্যে পণ্য আমদানির তুলনায় রফতানি একেবারে নগণ্য। পণ্য রফতানি বৃদ্ধিতে সেসব দেশে বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে। এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে পণ্য আমদানি বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায়ীদের কিছু কিছু সমস্যা পোহাতে হয়। তবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিলে ব্যবসা আরো বাড়বে। বাণিজ্য ব্যবসা গতিশীল করতে দুদেশের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।