সন্তান জন্মের এক বছর পর বাবা-মায়ের বিয়ে!



মাহমুদুল হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
আদালতে বিয়ে হয় আয়েশা আক্তার ও স্বপনের/ছবি: বার্তা২৪.কম

আদালতে বিয়ে হয় আয়েশা আক্তার ও স্বপনের/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এক বছর আট দিন বয়সী হাবিবুর রহমান খান সিয়ামের মুখের ভাষা ফুটেনি। সামান্য হাঁটতে শিখেছে মাত্র। অনেক বাঁধা পেরিয়ে পৃথিবীতে এসেছে সে। সিয়াম যখন মাতৃগর্ভে তখনও তার বাবা-মায়ের বিয়ে হয়নি। অবিবাহিত নারীর পেটে সন্তান! বিষয়টি সমাজের লোকজন মেনে নিতে পারছিল না। কূল না পেয়ে আইনের দ্বারস্থ হন ১৯ বছর বয়সী মা আয়েশা আক্তার আনিশা। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে তিনি ফিরে পেলেন স্বামী ও সন্তানের স্বীকৃতি।

এক বছর ১ মাস ২৯ দিন ধরে কারাগারে বন্দী মো. স্বপন মিয়ার সঙ্গে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে সন্তান কোলে থাকা আয়েশার বিয়ে হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর অফিসকক্ষে ব্যতিক্রমী বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

স্বপন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুখানিয়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। আর একই গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুল কাদিরের মেয়ে আয়েশা।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আয়েশাদের বাড়িতে গিয়ে প্রথমে তাকে পাওয়া যায়নি। খুবই দরিদ্র পরিবারে তার জন্ম। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর সন্তানকে কোলে নিয়ে বাড়িতে ফেরেন আয়েশা। কথা হলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, স্বামী স্বপনের হাজিরা ছিল আজ। আদালতের হাজতখানায় তার জন্য খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম।

মায়ের কোলে শিশু সিয়াম/ছবি: বার্তা২৪.কম

বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেড় বছরের সম্পর্কের পর ২০১৮ সালের ৮ মার্চ আদালতে নিয়ে স্বপন তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের দেনমোহর ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। সেই বিয়ের কোনো কাগজপত্র নেই। বিষয়টি কেউ জানতোও না। বাড়িতে না তুললেও বিভিন্ন স্থানে দেখা করে অধিকার আদায় করে নিত স্বপন। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। গর্ভের সন্তানের বয়স যখন আট মাস, তখন স্বপনকে এই কথা জানাই। স্বপন তখন গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে। পরে জানতে পারি তার স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী সন্তান রয়েছে।

তখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি করবো। মুখে না বললেও পরিবারের সদস্যরা শারীরিক পরিবর্তনে বুঝে গেলো আমি গর্ভবতী। অনেক দেন-দরবার করেও আমাকে ও গর্ভের সন্তানকে মেনে নিচ্ছিল না স্বপন। অন্যদিকে সমাজের লোকজন আমাদের ঘরছাড়া করতে উঠে পরে লেগেছিল।

আরও পড়ুন: প্রেমের মিলন ঘটল কাশিমপুর কারাগারে

নানীর কোলে সিয়াম/ছবি: বার্তা২৪.কম

উপায় না দেখে প্রতিবেশী চাচা মোতালিবের পরামর্শে রাজাবাড়ী ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুফিয়া বেগম ও গ্রামের মেম্বার কামরুজ্জামান ভূঁইয়া চানুর কাছে যাই। তাদের সহযোগিতায় ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নম্বর ৪৪) করি। পরে ১৮ ডিসেম্বর স্বপনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

স্বপন জেলে থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাজেন্দ্রপুর মডার্ন হসপিটালে সিয়ামের জন্ম হয়। অনেক কষ্টে হতদরিদ্র বাবা হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেছেন। ছেলে জন্মের পর মানুষের চাপ ও কটু কথা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

এই ভাঙা ঘরেই বসবাস আয়েশার পরিবারের/ছবি: বার্তা২৪.কম

স্বপনের বড় ভাই রিপন বেপারি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এই ঘটনার পর স্বপনের প্রথম স্ত্রী সুচরিতা তার তিন বছরের ছেলে আলিফকে ফেলে রংপুরে বাবার বাড়ি চলে গেছে। ঘরে বউ রেখে স্বপন এ ঘটনা ঘটানোর পর আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্বপন গ্রেফতার হওয়ার পর তার পক্ষে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন করা হয়। কিন্তু আবেদন খারিজ হওয়ায় উচ্চ আদালতে স্বপনের জামিন চাওয়া হয়। পরে উচ্চ আদালত আগে বিয়ের নির্দেশ দেন। এখন বিয়ের কাগজপত্র উচ্চ আদালতে জমা দিলে স্বপনের জামিন মিলবে।

আয়েশার বাবা আব্দুল কাদির বলেন, আমার দুই মেয়ে। দিন আনি, দিন খাই। নিজের জায়গা জমি নাই। ঘরজামাই থাকি। বড় মেয়ে রত্নাকে একই গ্রামে বিয়ে দিয়েছি। আয়েশার জন্য মানুষের চাপে শেষ আশ্রয়স্থল ছাড়ার উপক্রম হয়েছিল। ভুল মানুষই করে -এই ভেবে সব মেনে নিয়েছি। আমি গরিব মানুষ। নাতি জন্মের পর খরচ বেড়ে গেছে। বাচ্চার দাদা বাড়ি থেকে কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। আদালতের নির্দেশে বিয়ে হওয়ায় আমরা খুশি। এখন স্বামী-সন্তান নিয়ে মেয়েটি সুখে থাকলেই বাঁচি।

আয়েশার বাবা-মা/ছবি: বার্তা২৪.কম

আয়েশার খালাত বোন সাবিনা আক্তার বার্তা২৪.কম-কে জানান, বিয়ের নির্দেশনার খবর পেয়ে আয়েশাকে নিয়ে তিনি ছাড়াও আয়েশার বাবা আব্দুল কাদির, স্বপনের বাবা আব্দুল হক, মা নূর জাহান ও স্বপনের বোন জামাই কারাগারে যান। অফিসকক্ষে বিয়ে পড়ানোর পর কারাগারের কর্মকর্তাদের তারা মিষ্টিমুখ করিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট কারাগারের জেলার বাহারুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, হাজতি স্বপনের সঙ্গে মামলার বাদী আয়েশাকে বিয়ে দিতে গত ২৮ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়। আদেশের কপি প্রথমে যায় গাজীপুর জেলা কারাগারে। সেখান থেকে অর্ডারটি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়। এরপর দুই পক্ষের পরিবারের সদস্যদের খবর দিয়ে কারাগারে আনা হয়। তাদের উপস্থিতিতেই বিয়ে পড়ান স্থানীয় কাজী আশরাফুল আলম।

তিনি আরও বলেন, আদালতের সহায়তায় বাদী আয়েশা ভবিষ্যৎ জীবনের নিশ্চয়তা পেল। সমাজে এতদিন সে পরিচয় দিতে পারতো না। এখন মায়ের পাশাপাশি শিশুটিও পিতৃ পরিচয় পেল। এটি অবশ্যই একটি পজেটিভ বিষয়। চাকরি জীবনে কারাগারে বিয়ের ঘটনা খুব কমই পেয়েছি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;