আইন লঙ্ঘন করেই গাংনীতে চলছে ক্লিনিক



মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আইন লঙ্ঘন করেই গাংনীতে চলছে ক্লিনিক

আইন লঙ্ঘন করেই গাংনীতে চলছে ক্লিনিক

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় কয়েকটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চলছে। এখানে নেই কোন মেডিকেল অফিসার কিংবা দক্ষ নার্স। বাণিজ্যিকভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করছেন রোগীদের সাথে প্রতারণার মধ্য দিয়ে। স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি অবগত হলেও অদৃশ্য কারণে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের নমনীয়তায় রোগী ও স্বজনদের পাশাপাশি চিকিত্সকদের মাঝেও ক্ষোভ বাড়ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মেডিকেল অফিসার বলেন, বর্তমানে সময়ে বিএমডিসি সনদপ্রাপ্ত অনেক চিকিৎসক শুধুমাত্র বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা দান করছেন। সরকারি হাসপাতালে নিয়োগপ্রাপ্ত আরো অনেকে খণ্ডকালীন সময়ে এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা দিয়ে থাকেন। ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনা নিশ্চিত করা গেলে চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্র নিরাপদ হবে। রোগীরা পাবেন উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা। 

গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক বাজার হিসেবে পরিচিত। এ উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও নিত্যপ্রয়োজন মেটাতে প্রতিনিয়ত বামন্দী বাজারে যাওয়া আসা করে। এ সুযোগ লুফে নিতে অনেকটাই ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বামন্দী বাজারে এক ডজনের উপরে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবার নামে ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি রয়েছে জনমনে। এর মধ্যে মাহি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, করবী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং আল ফালাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেডিকেল অফিসার নেই। ক্লিনিকের কাগজপত্রে মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেখানো হলেও কার্যত তাদের কোন অস্তিত্ব নেই এসব প্রতিষ্ঠানে।

ভুক্তভোগী কযেকজন রোগীর স্বজন জানান, বামন্দীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে কিছু ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ভাড়া করা মেডিকেল অফিসার নির্দিষ্ট দিনে উপস্থিত করিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিদর্শন পার করেন প্রতিষ্ঠান মালিকরা। বিষযটি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা অবগত হলেও রহস্যজনক কারণে নিরবতা পালন করেন। তাছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত তদারকি না থাকায় রোগীদের সাথে প্রতারণা করেও পার পেয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়াও সনদপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ছাড়াই আলট্রাসনোগ্রাফিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে অর্থ। 

জানতে চাইলে করবী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালক জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুত বলেন, দু’জন মেডিকেল অফিসার সপ্তাহে দুইদিন করে রোগী দেখেন। স্থায়ী মেডিকেল অফিসার দ্রুত নিয়োগ দেয়া হবে।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে একজন করে মেডিকেল অফিসার যিনি আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দক্ষ নার্স ও অন্যান্য জনবল থাকতে হবে নিয়মানুযায়ী। ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া রোগীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা ও চেকআপ করাতে হবে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, খণ্ডকালীন সময়ে কয়েকজন চিকিৎসক এখানকার ক্লিনিকে অপারেশন করে থাকেন। সিজারিয়ান অপারেশন, এপেনডিক্সসহ বিভিন্ন প্রকার অপারেশন করা হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিত না করেই। অপারেশন পরবর্তী চিকিত্সার জন্য কোন মেডিকেল অফিসার নেই। ক্লিনিকের বয়, নার্স আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ক্লিনিক মালিক নিজেই চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করছেন।

কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজন জানান, এসব ক্লিনিকের রয়েছে পোষ্য লোক। যারা গর্ভবর্তী মায়েদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নানা প্রলোভনে ক্লিনিকে ভর্তি করায়। অপারেশন হওয়ার পর নানা অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হলেও রোগী ও স্বজনদের আর কিছুই করার থাকে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাঃ নাসির উদ্দীন বলেন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের সাথে আমরা আলাপ চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিনের মধ্যে নীতিমালা ও শর্ত পূরণ না করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;