শেরপুরে জাতিসত্তার ভাষা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
![বিভিন্ন জাতিসত্তার ভাষা সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2020/Feb/19/1582103404679.jpg)
বিভিন্ন জাতিসত্তার ভাষা সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন
বিভিন্ন জাতিসত্তার ভাষা সংরক্ষণ, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন এবং নিজস্ব ভাষার শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে শেরপুরে মানববন্ধন করেছে সামাজিক সংগঠন জনউদ্যোগ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শেরপুরের চকবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরাম, পিলাচ, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন, বর্মন ছাত্র পরিষদ, শেরপুর আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ হদি কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ হাজং ছাত্র পরিষদ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, নারী রক্তদান সংস্থা ও গাংচিল।
জনউদ্যোগের সদস্য সচিব হাকিম বাবুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শফিক ইবনে মাসুম, প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান, গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক রফিক মজিদ, কবি ও শিক্ষক জ্যোতি পোদ্দার, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকা লুৎফুন্নাহার, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি)’র প্রোগ্রাম অফিসার ইমতিয়াজ চৌধুরী শৈবাল, সদর উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি মিন্টু চন্দ্র বিশ্বাস, সুমন্ত বর্মন, শুভ হাজং, দেবাশীষ কোচ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শেরপুর জেলায় ৬টি আদিবাসী জাতিসত্তার বসবাস। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। কিন্তু কালের বিবর্তনে কোন ধরনের বর্ণমালা সংরক্ষিত না হওয়ায় মুখে মুখে প্রচলিত ভাষা আজ বিলুপ্তির পথে। এজন্য দেশে বসবাসকারী সকল আদিবাসীদের ভাষার রক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। যেসব জনগোষ্ঠীর ভাষা প্রচলিত আছে কিন্তু বর্ণমালা নেই তাদের বর্ণমালা উদ্ধার ও লিপিবদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সকল আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। আদিবাসী এলাকায় মাতৃভাষার পাঠদানের উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ করারও দাবি জানান বক্তারা।
পরে একই দাবিতে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার’স ফোরামের আয়োজনে উন্মুক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।