তিস্তার বালুচরে সবুজের সমারোহ
তিস্তা নদীতে পানি প্রবাহ কমে গেছে। মাঝ নদীতে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর-ডুবোচর। নাব্যতা সংকটে প্রায় বন্ধের পথে নৌ চলাচল। তিস্তা নদী শুকিয়ে এখন আবাদি জমিতে রূপ নিয়েছে। চরের পলি ও দো-আঁশ মাটিতে চাষ হচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন, বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, ভুট্টা, গমসহ নানা জাতের ফসল। কৃষকরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসল পরিচর্যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে পীরগাছা উপজেলায় রবি শস্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া চরাঞ্চলে দুই হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে রবি শস্যের আবাদ হচ্ছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নে তিস্তা নদীর চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, এক সময়ের খরস্রোতা তিস্তা নদীতে পানি প্রবাহ না থাকায় আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। পায়ে হেঁটেই তিস্তা পাড়ি দিচ্ছে দুই পাড়ের বাসিন্দারা। তিস্তার বুকে জেগে ওঠা ধু-ধু বালুচরে এখন সবুজের সমারোহ। শুরু হয়েছে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ।
গাবুড়ার চরের কৃষক আব্দুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘তিস্তা নদীতে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বোরো চাষিরা বিপাকে রয়েছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বোরো চাষ কঠিন হয়ে পড়ে। তবে গত কয়েক বছর থেকে রবি শস্যের চাষাবাদ বাড়ছে।’
পায়ে হেঁটেই বেশির ভাগ নদী পাড়ি দিয়ে আসা ছাওলা ইউনিয়নের মরিয়ম বেগম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নৌকা ঠিকমতো চলতে পারে না। ঘাট অনেক দূরে। তিস্তাতে এখন কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও আরও কম। উলিপুর থেকে আসতে অল্প একটু নদী নৌকা দিয়ে পাড়ি দিতে হয়েছে। আর বাকি পথ হেঁটেই যাতায়াত করতে হচ্ছে।’
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘তিস্তা নদীতে শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহ নেই বললে চলে। এতো দিন চরের বেশির ভাগ জমি পতিত ছিল। এখন সেই জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আসছে।’