কাশ্মীরি আপেল কুল ভাগ্য বদলেছে জিকুর
কাশ্মীরি আপেল কুল চাষ করে ভাগ্য বদলেছেন সালাহউদ্দিন জিকু। নিরাপদ ও বিষমুক্ত কাশ্মীরি আপেল কুল চাষ করে ব্যাপক সাফল্যও পেয়েছেন তিনি। জিকু মিরপুর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের পয়ারী গ্রামের বাসিন্দা।
সরজমিনে তার বাগানে দেখা যায়, লাল-সাদা আপেল কুল দুলছে বাগানে। কয়েকজন কৃষক সেই বাগান থেকে পাকা কুল সংগ্রহ করছেন। চারদিকে জাল দিয়ে ঘেরা। প্রতিটি গাছে গাছে দুলছে কাশ্মীরি আপেল কুল।
সালাহউদ্দিন জিকু বার্তা২৪.কম-কে জানান, শাইখ সিরাজের বিভিন্ন কৃষি বিষয়ক প্রতিবেদন দেখেই কাশ্মীরি আপেল কুলের বাগান করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তার নিজের তিন বিঘা জমিতে এ জাতের কুল চাষ করেন। নাটোর থেকে এই জাতের কুলের চারা এনে লাগান। গত মৌসুমে ৬শ কাশ্মীরি আপেল কুলের চারা রোপণ করেন।
তিনি বলেন, রোপণের নয় মাস পর এবারই প্রথম ফল এসেছে। আমাদের কুল বিক্রি করতে কোনো ঝামেলা নেই। কুষ্টিয়া জেলাসহ বাইরের জেলার পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগানে এসে বাগান থেকে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা দুই হাজার আটশ টাকা মন হিসেবে বিক্রি করেছি। কয়েক সপ্তাহ হলো প্রতিদিন বাগান থেকে ৫-৭ মন করে আপেল কুল পেয়ে থাকি। আশা করি এ মৌসুমে ৪ লাখ টাকা লাভ থাকবে।
কুষ্টিয়া শহর থেকে পাইকারিভাবে এই আপেল কুল কিনতে আসা জুয়েল রানা জানান, এই জাতের কুলটির বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। এই জাতের কুলের বাজার মূল্য প্রতি কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।
মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রমেশ চন্দ্র ঘোষ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, উঁচু জমিতে কুল বাগান ভালো হয়। যে বাগানে যত বেশি রোদের আলো লাগবে সেই জমির কুল বেশি মিষ্টি হবে। ৫-৬ হাত দূরত্বে একেকটি গাছের চারা রোপণ করতে হয়। তুলনামূলক রোগ-বালাইও কম। আমরা সালাহউদ্দিন জিকুকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতাসহ পরামর্শ দিয়েছি।
তবে এই কাশ্মীরি আপেল কুল বাগান করে স্বল্প সময়ে ভালো ফলন এবং দাম পাওয়ায় বেকারত্ব দূর করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।