‘দেশে ৫১২ পয়েন্ট দিয়ে মাদকের প্রবেশ’
পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান বলেছেন, বাংলাদেশে ত্রিশটি রুটে, ৫১২টি পয়েন্ট দিয়ে মাদক প্রবেশ করে। মৌলভীবাজারের কিন্তু চারদিকে বর্ডার আছে। এসব বর্ডার দিয়ে সহজেই আসা যাওয়া করা যায়।
তিনি বলেন, মৌলভীবাজার জেলা যে কত ঝুঁকিপূর্ণ তা আপনারা সহজেই অনুধাবন করতে পারেন। ইয়াবা এখন বড় সমস্যা। প্রতিবেশী দেশ থেকে ইয়াবা সহজেই ঢুকতে পারে। এটা বুঝার জন্য খুব বেশি লেখাপড়া ও গবেষণার দরকার হয় না।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় জেলা পুলিশের সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় জেলা পুলিশ কনকপুর ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করে ১৭ জন মাদকসেবীকে আলোর পথের যাত্রী কর্মসূচির আওতায় আনা হয়।
ডিআইজি কামরুল বলেন, মাদক ব্যবসায় যদি কেউ টাকা লগ্নি করে, বড় বড় ব্যবসায়ী পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ে। তাদের জন্য কিন্তু শক্ত ব্যবস্থায় যেতে হবে। আপনার কোনো আয়-রোজগারের ব্যবস্থা নেই অথচ আপনি বিশাল অট্রালিকা বানাচ্ছেন। মাসে মাসে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন, ইন্ডিয়া যাচ্ছেন বেড়ানোর জন্য ফ্যামিলিসহ। দুই মাস পরপর ওমরাহ করতে যাচ্ছেন। আরে বাংলাদেশের মানুষজন ঘনঘন ওমরাহ যায় এত টাকা পায় কোথায়। সবাই কি স্বাভাবিকভাবে ইনকাম করে যায়। অনেকেই স্বাভাবিকভাবে যায় না।
তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশে ৭০ লাখ মাদকসেবী। একটি পরিবারে যদি একজন মাদকসেবী থাকে, তাহলে কিন্তু সে পরিবার শেষ। দেশের পরিবারের গড় সদস্য যদি ৫ জন হয়। তাহলে ৭০ লাখ কিন্তু সাড়ে ৩ কোটি মানুষকে স্পর্শ করছে। এটি শুধু অভ্যন্তরীণ সমস্যা। মানে একটি পরিবার কেন্দ্রিক সমস্যা। আর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের নানাবিধ সমস্যা তো রয়েছেই।
পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফজলুল আলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহ উর রহমান, পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সালেহ এলাহী কুটি প্রমুখ।