৬৮ বছরেও ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি মেলেনি ফজলুল হকের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
ভাষা সৈনিক ফজলুল হক

ভাষা সৈনিক ফজলুল হক

  • Font increase
  • Font Decrease

বায়ান্নর ফেব্রুয়ারি, সারাদেশে ভাষা আন্দোলন তুঙ্গে। ভাষা আন্দোলনের ঢেউ লেগেছিল নাটোরেও। সে সময়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে নাটোরে সক্রিয়ভাবে যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন তাদের মধ্যে ভাষা সৈনিক ফজলুল হক অন্যতম।

তখন তিনি নাটোরের জিন্না মেমোরিয়াল স্কুলের (বর্তমানে নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়) নবম শ্রেণির ছাত্র। ঝাঁপিয়ে পড়েন ভাষার অধিকার আদায়ের আন্দোলনে। তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে নিজের ও পার্শ্ববর্তী স্কুলের শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করেন তিনি। আর এজন্য তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। এরপর দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়াতে হয় তাকে।

ফজলুক হক জানান, ৫২’র ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ছাত্র-জনতা। পাক-সরকার সেদিন রাজপথে মিছিলরত ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালে সালাম, জব্বার, রফিক, শফিক, বরকতসহ বেশ কয়েকজন শহীদ হন। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি এ খবর নাটোরে পৌঁছালে ছাত্র-জনতা মাতৃভাষা রক্ষার দাবিতে নেমে পড়েন রাজপথে। এদিন নাটোরের জিন্না মেমোরিয়াল স্কুলের (বর্তমানে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়) নবম শ্রেণির ছাত্র ক্লাস ক্যাপ্টেন ফজলুল হক ভাষার জন্য তার স্কুলের সকল ছাত্রকে সংগঠিত করেন।

এরপর সবাই মিলে শহরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। সেখান থেকে ওই স্কুলের শিক্ষকদের অনুমতিক্রমে ছাত্রীদের নিয়ে চলে যান মহারাজা জে এন উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরে তিনটি স্কুলের সব শিক্ষার্থী মিলে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ এই স্লোগান দিয়ে ফজলুল হকের নেতৃত্বে শহরে মিছিল ও সমাবেশ করেন। এ অপরাধে হুলিয়া মাথায় নিয়ে দিনের পর দিন পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে তাকে।

সেদিনের মিছিল-মিটিংয়ে অগ্রগামী ফজলুল হক স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তার প্রত্যাশা, অনেক ত্যাগ আর প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাভাষার সঠিক চর্চা অব্যাহত থাকবে। শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারের সঠিক মর্যাদা দেওয়া হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকবে।

ফজলুল হক বলেন, আমি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাইনি বলে ক্ষোভ নেই। মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে নিজে শরিক হতে পেরেছিলাম এবং অন্যদের সংগঠিত করতে পেরেছিলাম বলে আমি গর্ব বোধ করি। তবে কষ্ট লাগে, এতো রক্ত আর আন্দোলনের অর্জন বাংলা ভাষার বিকৃত ব্যবহার, অপপ্রয়োগ দেখে। এই বাংলা ভাষায় আরো বেশি সাহিত্য চর্চা হওয়া খুবই দরকার।

১৯৩৮ সালে সিংড়া উপজেলার দমদমা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক ফজলুল হক বর্তমানে নাটোরের কান্দিভিটা এলাকায় বসবাস করেন।

মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষায় সাহসী ভূমিকা রাখা মানুষটি ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পরও পাননি কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। ২০১০ সালে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষ পূর্তিতে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয় ভাষাসৈনিক ফজলুল হককে। এই মহান ভাষা সৈনিক তার জীবদ্দশায় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাবেন এমনটি প্রত্যাশা তার পরিবার আর নাটোরবাসীর।

জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, প্রতি বছর একুশে বইমেলায় ভাষা সৈনিক ফজলুল হককে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আগামীতেও তাকে যথাযোগ্য সম্মান দিতে চেষ্টা করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;