রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে ডাকাতদলের সশস্ত্র তৎপরতা



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বেশকিছু ডাকাতদের সংঘবদ্ধ গ্রুপ (দল)। চিহ্নিত ডাকাত আব্দুল হাকিমের অনুসারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছে এসব দলের। মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি সাধারণ রোহিঙ্গারাও রয়েছে এসব ডাকাতদের হুমকি-ধামকিতে।

ক্যাম্পের একাধিক সূত্র বলছে, টেকনাফের শালবাগান, নয়াপাড়া, লেদা, পালংখালী, থ্যংখালীসহ বিভিন্ন ক্যাম্প ভিত্তিক স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তদের তৎপরতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্যাম্পে নিয়োজিত ব্লক মাঝি ও কতিপয় ভলান্টিয়াররা এসব ডাকাতদের সোর্স হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে প্রশাসনের অভিযানের খবর দ্রুত পেয়ে যায় ডাকাত দল। এছাড়াও প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় বাণিজ্যে সাধারণ রোহিঙ্গারা অতিষ্ঠ হওয়ার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশে-পাশের পাহাড়ে অবস্থানরত ডাকাত জকির গ্রুপ, ছৈয়দ হোছন ওরফে পুতিয়া গ্রুপ, খাইরুল আমিন গ্রুপ, সালমান শাহ গ্রুপ, মোঃ শফি গ্রুপ, আনোয়ার গ্রুপ, নুর হোছন গ্রুপ, মোঃ ইসলাম ধইল্যা গ্রুপ, নুরুল ইসলাম ওরফে নুর সালাম গ্রুপের সদস্যদের স্বশস্ত্র মহড়া চলমান। এসব ডাকাত গ্রুপের লিডাররা শীর্ষ ডাকাত সরদার আব্দুল হাকিম ওরফে হাকিম ডাকাতের নির্দেশ মেনে চলে। হাকিম ডাকাতের তৎপরতায় এসব গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, স্বশস্ত্র গ্রুপ পাহাড় থেকে নেমে ক্যাম্পে এসে মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ অস্ত্র বেচা-বিক্রি, ভাড়াটে খুনি, অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্যের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে যাচ্ছে। বলতে গেলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করছে এই ডাকাত চক্র ও তাদের সহযোগীরা। এসব ডাকাতদের হাতে হামলার শিকার হয়েছে আইশৃঙ্খলাবাহিনীর একাধিক সদস্যও।

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মধ্যে এখন সবচেয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জকির বাহিনী। মূলত মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে সশস্ত্র জকির বাহিনী। এই বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছে নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের সি ব্লকের হাজী আঃ আমিনের ছেলে জকির (২৮)।  অত্যাধুনিক দেশি-বিদেশি ২০টিরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত এই বাহিনীতে আরো অন্তত ৩০ জন সদস্য রয়েছে। এ বাহিনীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ২ র‌্যাব সদস্য। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১২ র‌্যাব সদস্য। জকির বাহিনীর গুলিতে আহতের তালিকায় রয়েছে অর্ধশত রোহিঙ্গাও।

গত ৩০ ডিসেম্বর টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরের পাশে জকিরের নেতৃত্বে তার বাহিনীর সদস্যরা র‌্যাব সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এ সময় কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের সদস্য সৈনিক ইমরান ও কর্পোরাল শাহাব উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়। বিদেশি অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে র‌্যাবের ওপর এ হামলা চালানো হয়। দুই র‌্যাব সদস্যকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে একাধিক অপারেশন করেও শরীর থেকে এখনো গুলি বের করা সম্ভব হয়নি।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের ইনচার্জ (এএসপি) শাহ আলম বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন, গত ৩০ ডিসেম্বর গোপন তথ্যে’র ভিত্তিতে শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান জকিরকে ধরতে অভিযান চালানো হয়। ঐ সময় জকির ও তার বাহিনীর সদস্যরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে দুই র‌্যাব সদস্য গুলিবিদ্ধ হন।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলা করে জকির বাহিনী।  জকির ও তার বাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গা শিবিরে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় । এই সময় শিশুসহ ১৫ রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়।

গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরে অভিযানে গেলে আবারও র‌্যাবকে টার্গেট করে হামলা করে জকির বাহিনী। এতে অন্তত ১২ জন র‌্যাব সদস্য আহত হয়। র‌্যাবের গুলিতে মারা যায় জকির বাহিনীর সদস্য ইলিয়াছ ডাকাত। সে টেকনাফের-২৬ নম্বর ক্যাম্পের ডি-ব্লকের বাসিন্দা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, একটি ওয়ানশুটার গান ও চারটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইন কমান্ডার আজিম আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, জকির বাহিনী এখন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সশস্ত্র। তাদের হাতে একাধিক অত্যাধুনিক বিদেশি অস্ত্র আছে। তারা মূলত ইয়াবা পাচার, ক্যাম্পের অভ্যন্তরে চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত। এই বাহিনীকে ধরতে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে। যে কোন ভাবেই এই বাহিনীর প্রধান জকিরসহ বাহিনীর সবাইকে ধরতে র‌্যাব অভিযান শুরু করেছে।

এদিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসেন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, শুধু ডাকাত নয় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। মাঝে-মধ্যে এসব ডাকাত দলের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। দুর্গম এলাকায় অবস্থান করার ফলে তাদের আটকে দীর্ঘ সময় লাগছে। তবে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;