সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ফেনীর ১ লাখ মানুষ পাচ্ছে সহায়তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফেনী

ফেনী

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগের একটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ফেনীতে সহায়তা পাচ্ছে ১ লাখ ৭ হাজার ৭২০ জন অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষ। ফেনী জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খান প্রসঙ্গক্রমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেলা সমাজ সেবা কার্যালয় হতে প্রাপ্ত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যসূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট ১১টি খাতে ফেনীতে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার ৮৯৮ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

একই সূত্রে দেখা যায়, এতে নগদ হস্তান্তর, খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানসহ নানা কর্মসূচি রয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ফেনীতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

ফেনী জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় ৪২ হাজার ৯৬০ জনকে বয়স্ক ভাতা, ১৬ হাজার ৮৮২ জন বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা, ১৫ হাজার ২৬৪ জনকে অসচ্ছ্বল প্রতিবন্ধী ভাতা, ৯১১ জনকে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এসব প্রকল্পে ১২ কোটি ৬২ লাখ ৭১ হাজার ৫০ টাকা মোট বরাদ্দের মধ্যে ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৪৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

উপপরিচালক আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ১৪২টি সেবাখাত রয়েছে। যার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা ভাতা উল্লেখযোগ্য।

তিনি জানান, এমন কিছু উদ্যোগ রয়েছে যেগুলো জেলার অবস্থানগত ভিত্তিতে সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি রয়েছে দেশের ৪ জেলায়। এছাড়াও হাওড় অঞ্চলের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের কর্মসূচি রয়েছে।

ফেনী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে কামার, কুমার, জেলে, মুচিসহ আরও কিছু পিছিয়ে পড়া পেশাজীবীদের সরকার ভাতা প্রদানের আওতায় আনছে।

জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাধবী বড়ুয়া জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) প্রকল্পে ৫ হাজার ৬১৩ জন মহিলাকে বিতরণের জন্য ২ হাজার ২০ মেট্রিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৫২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, এছাড়া ৬ হাজার ৪৬২ জন দরিদ্র মা ও কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচির আওতায় ২ হাজার ৭৫০ জনকে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এ দুই প্রকল্পে মোট বরাদ্দের মোট ৪ কোটি ৪২ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ টাকা সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ফেনীর উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আহম্মদ কবির মজুমদার জানান, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় ২২০ জন বেকার যুবক ও মহিলাদের জন্য ৭০ লাখ ৬৪ হাজার ৭০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৪১ লাখ ৫৯ হাজার ৬০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, ২০১৮ সালে ২৯৩ জনকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়। তন্মধ্যে ২২০জন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংযুক্তি দেয়া হয়।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হতে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পে ১৬ হাজার ১০৯০ জন সুবিধাভোগীর জন্য ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৮ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। তারমধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার ৮শ ৪৫ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন ফেনীর ছাগলনাইয়ার মহামায়া ইউনিয়নের মনোয়ারা বেগম। তিনি জানান, স্বামীহীন সংসারে সরকারের চাল আমার ইজ্জত বাঁচিয়েছে।

মহামায়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গরীব শাহ হোসেন বাদশা চৌধুরী জানান, চলতি অর্থ বছরে ১৬০ জনকে ভিজিডি প্রকল্পের আওতায় এবং ২২০ জন অনগ্রসর ও প্রতিবন্ধী কোটায় ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ৩ হাজার ৫শ জন ব্যক্তি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় সহায়তা পেয়েছে।

সোনাগাজীর পালগিরি গ্রামের মাতৃত্বকালীন ভাতা পাচ্ছেন মোমেনা বেগম। তিনি বলেন, সন্তান গর্ভে নিয়ে কাজ করা কষ্টকর। এ ভাতা আমার জীবন কাটাতে সাহায্য করছে।

সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রবিউজ্জামান বাবু জানান, চলতি অর্থবছরে ইউনিয়নে ৭০জনকে মাতৃত্বকালীন ভাতা, ১১৬ জনকে ভিজিডি, ৬০জন বিধবাকে ও ৩৫জন প্রতিবন্ধীকে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;