জোরপূর্বক রেজুলেশন বইয়ে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর গ্রহণ, থানায় অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
চলবলা দলগ্রাম একরামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা/ছবি: বার্তা২৪.কম

চলবলা দলগ্রাম একরামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা দলগ্রাম একরামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি হওয়ার জন্য জোরপূর্বক অধ্যক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে রেজুলেশন বই ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক অভিভাবক সদস্য আনছারুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মাদরাসাটির (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা দলগ্রাম একরামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভার) মো. নুরুজ্জামান এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত অভিভাবক সদস্য আনছারুল ইসলাম উপজেলার দক্ষিণ দলগ্রাম এলাকার মৃত ছানাউদ্দিনের ছেলে।

অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৬ সালে অধ্যক্ষ এমদাদুল হক অবসর গ্রহণ করলে শুরু হয় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। এরপর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান উপাধ্যক্ষ মইনুল হাসান কারিমী। তিনিও ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করলে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট আকার ধারণ করে।

সমর্থন না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক সদস্য আনছারুল ইসলাম নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করে মাদরাসার যাবতীয় কাগজপত্র কুক্ষিগত করেন। এ নিয়ে হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায় মামলা।

পূর্বের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অবসর নেয়ার পরদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব বুঝে নেন মাদরাসাটির সিনিয়র প্রভাষক মো. নুরুজ্জামান। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র সদস্য আনছারুল ইসলামের কাছে থাকায় প্রতিষ্ঠানের কোন কাগজপত্র বুঝে নিতে পারেননি। এরই মাঝে গত ৭ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল ইসলামকে সভাপতি করে নতুন এডহক কমিটি গঠন করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন সাবেক কমিটির সদস্য আনছারুল ইসলাম।

পূর্বের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সভা আহ্বান করেন। সেখানে সাবেক সদস্য আনছারুল ইসলাম দলবল নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের রেজুলেশন বইতে জোরপূর্বক সকলের স্বাক্ষর নিয়ে পুনরায় রেজুলেশন বই নিয়ে চম্পট দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাবেক সদস্য আনছারুল ইসলাম ও তার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নুরুজ্জামান।

অভিযুক্ত আনছারুল ইসলাম বলেন, পূর্বের অধ্যক্ষের কিছু অনিয়মের প্রমাণ থাকায় রেজুলেশন বইটি অন্য সদস্যরা আমার কাছে জমা দিয়েছেন। গত শনিবারের সভা শেষে পুনরায় বইটি নিয়ে চলে এসেছি। জোর করে স্বাক্ষর করে নিইনি।

চলবলা দলগ্রাম একরামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভার.) মো. নুরুজ্জামান বলেন, সভায় দলবল নিয়ে আনছারুল প্রবেশ করে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে এডহক কমিটির সভাপতিকে নিয়ে বিদ্রুপ করে চলে যান। জীবন বাঁচাতে সকলেই স্বাক্ষর করেছি। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র পাইনি।

কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাত হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চলবলা দলগ্রাম একরামিয়া ফাজিল মাদরাসার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভায় আনছারুল নামে একজন রেজুলেশন বইতে জোরপূর্বক সকলের স্বাক্ষর নিয়ে বইটি ছিনিয়ে নেন বলে শুনেছি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;