উপকূলে বেড়েছে মাছের প্রাচুর্য

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

পটুয়াখালী ও বরগুনা অঞ্চলসহ দক্ষিণ উপকূলে নদ-নদী ও সাগরে গত কয়েক সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পরছে। এর মধ্যে সামুদ্রিক মাছের সংখ্যাই বেশি। বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় মাছের দাম এখন মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিগত কয়েক বছর থেকে সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, গত কয়েক বছরে জেলার নদ-নদী ও সাগরে মাছের উৎপাদন বাড়ছে। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে জেলার নদী-নদী ও সাগরের মাছের উৎপাদন ছিলো ৫৯,১৫৬ মেট্রিকটন। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে জেলার নদ-নদী ও সাগরে মাছের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫,৮০৯ মেট্রিকটনে, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে জেলার নদ নদী এবং সাগরে মাছের উৎপাদন হয়েছে ৭০,২৯০ মেট্রিকটন। মৎস্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ধারাবাহিকতায় বর্তমান অর্থ বছরেও মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালী শহরের নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায় বর্তমানে ১ কেজি সাইজের ইলিশ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা এর আগে ১১শ থেকে ১২শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। এছাড়া দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের আইড় প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা দরে বিক্রি হতো। প্রতি কেজি পোয়া (পোমা) ১৫০ টাকা থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে যা আগে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। এভাবেই বিভিন্ন মাছের দাম এখন অনেকটা মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে বলে জানান ক্রেতা ও বিক্রেতারা।

শহরের সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা সোহরাব হোসেন বলেন, 'আগে তো ইলিশ মাছ দাম দরই করা যেতো না। এখন কিছুটা কেনা যাচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য মাছও এখন সস্তা। আর বাজারে মাছের সরবরাহ বেশি থাকায় মোটামুটি তাজা মাছ কেনা যাচ্ছে।'

বিজ্ঞাপন

পটুয়াখালী পুরান বাজার এলাকার মৎস্য বিক্রেতা ইদ্রিস গাজী জানান, গত ১৫ থেকে ২০ দিন যাবত মাছের সরবরাহ ভালো, দামও অনেকটা কম। মানুষ তেমন একটা দামাদামি করে না।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ইলিশের প্রজনন মওসুম যেমন নিরাপদ করেছে তেমনি জাটকা সংরক্ষণেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ছোট ফাঁসের জাল এবং কারেন্ট জাল বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি মাছের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি করা এবং সাগরে নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ফলে এখন মাছ যেমন বড়ো হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে তেমনি মাছের বংশ বৃদ্ধি এবং উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।