মেরিন ড্রাইভে চালু হলো দেশের প্রথম ‘ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যান’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে চালু হলো ‘অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যান’/ছবি: বার্তা২৪.কম

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে চালু হলো ‘অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যান’/ছবি: বার্তা২৪.কম

একপাশে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, অন্যপাশে পাহাড়ের সারি। আর তার মাঝখান দিয়ে চলে গেছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। ৮০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কটি বর্তমানে পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ সড়ক। সড়কটি পুরোটাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। পর্যটকদের সুবিধার জন্য কক্সবাজার থেকে সাগরঘেঁষে টেকনাফমুখী মেরিন ড্রাইভ সড়কে চালু হলো ‘অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যান’ নামে বিশেষ বাস সেবা।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পর্যটক বাস সার্ভিসটির উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান আলী।

বিজ্ঞাপন
পর্যটকদের সুবিধায় বিশেষ এ বাস সেবা সার্ভিস

অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যানের কর্মকর্তারা জানান, ‘অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যান’ নামে নতুন বাস চলবে এ সড়ক দিয়ে, যা দেশের কোনো পর্যটক স্পটে প্রথম। এটি চলাচল করবে কলাতলী থেকে টেকনাফ জিরো পয়েন্ট হয়ে আবার কলাতলী পর্যন্ত। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ২ হাজার টাকা। প্রতিদিন সকাল ৯টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে ছেড়ে যাবে বাসটি। 

১০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বন্ধুর উদ্যোগে এক কোটি টাকা ব্যয়ে চালু হয়েছে এ বিশেষ ছাদখোলা দোতলা বাস। এসব শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পড়াশোনা শেষ করে বেরিয়েছেন। তাদের মধ্য তিনজন এখনো পড়াশোনায় রয়েছেন। পাশাপাশি এ বাস সার্ভিসটি পরিচালনা করবেন। কয়েকটি কাউন্টার ছাড়াও ওয়েবসাইটেও (www. aquaholic.com.bd) এ বাসের টিকিট ক্রয় করা যাবে।

বিজ্ঞাপন
দ্বিতল এ বাসটির আসন সংখ্যা ৪৮টি। উপরে ৩৬ আর নিচে ১২টি

অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভানের ব্যবস্থপনা পরিচালক তানজীল আহমেদ বার্তা ২৪.কমকে বলেন, বর্তমানে বাস একটি। আসন সংখ্যা উপরে ৩৬টি, নিচে ১২টি। 

আরেক পরিচালক ইমরান খাঁন বার্তা২৪.কমকে বলেন, মেরিনড্রাইভ সড়কের সৌন্দর্য উপভোগের পর্যটকদের সুবিধার্তে আমরা ১০ বন্ধু মিলে এ উদ্যোগ নিয়েছি। আশাকরি কক্সবাজারের পর্যটনে এটি অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে।

মিজানুর রহমান বার্তা ২৪.কমকে বলেন, পর্যটনের প্রসারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের বাস সার্ভিস চালু আছে। এ বাসের বিশেষত্ব হচ্ছে ছাদ খোলা। পর্যটকেরা বিনোদনের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারে। আর মেরিন ড্রাইভ হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে। এই সড়কটির দু’পাশের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের প্রসারের জন্য মূলত এ উদ্যোগ।

বাস সার্ভিসটির উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান আলী

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান আলী বলেন, পর্যটন সম্প্রসারণে এ বাসটি ভূমিকা রাখবে। এ কারণেই সব সময় বাসটি পরিচালনায় সহযোগিতা করবে।

প্রসঙ্গত, দেশের প্রথম মেরিনড্রাইভ সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ছিলো। ছোট পরিবহনে ভ্রমণ করতো আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। দেশের প্রথম ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যানের যাত্রার মাধ্যমে এক নতুন নতুন মাইল ফলক সৃষ্টি হলো।