কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ কেলেঙ্কারিসহ নানা ঘটনায় জড়িয়ে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক রতন কুমার সাহাও বিদায় নিয়েছেন কলেজ থেকে। এসব অভিযোগে বদলি করা হয়েছে কলেজের হিসাব রক্ষক আবদুল হান্নানকেও। পরিবর্তন এসেছে শিক্ষক পরিষদে। বর্তমানে এসব অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনার তদন্ত করছে দুদক। এরপরও থেমে নেই অনিয়ম।

বর্তমানে অভিযোগ উঠেছে, কলেজের রসায়ন, পদার্থ ও গণিত বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক চূড়ান্ত পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন শিক্ষকরা। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ রসায়ন বিভাগে ৩শ, পদার্থ বিভাগে ৪শ এবং গণিত বিভাগ থেকে ৫২০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর শিক্ষকরা। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের দাবি শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাস করানো হয়েছে। এসব টাকা ওই ক্লাসের ফি হিসেবে নেয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পদার্থ, ২৫ ফেব্রুয়ারি রসায়ন বিভাগে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি গণিত বিভাগে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এসব পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো প্রকার রশিদ ছাড়াই নগদ টাকার মাধ্যমে ব্যবহারিক খাতা জমা নিচ্ছে উক্ত বিভাগগুলো। বিভাগের শিক্ষকদের এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের রসায়ন বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষকরা ব্যবহারিক বিষয়ে ক্লাস নিয়েছেন, এটা সত্য। তবে এসব ক্লাসের বিনিময়ে আলাদা কোনো ফি নেয়ার নিয়ম নেই।

তাদের দাবি, ব্যবহারিক ক্লাসের ফি, বিভাগের উন্নয়ন ফি সহ নানা খাতের কথা বলে অন্যায়ভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার পূর্বেই বাধ্যতামূলক ফি আদায় করছে বিভাগের শিক্ষকরা। টাকার বিনিময়ে শিক্ষকরা ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর দিয়ে থাকেন। আর টাকা না দিলে ব্যবহারিক পরীক্ষা ও কলেজের অন্যান্য অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় নম্বর কম দেয়া হবে বলে তাদের জানানো হয়। এই ভয়ে সবাই টাকা দিতে বাধ্য হয়।

কলেজের বিভিন্ন বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, অনেক আগ থেকেই রসায়ন বিভাগসহ বিজ্ঞান অনুষদের প্রত্যেকটি বিভাগে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর কম দেয়ার ভয় দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছেন শিক্ষকরা। নিজ নিজ বিভাগের শিক্ষকরা এই টাকা পরীক্ষার দিন ভাগবাটোয়ারা করে থাকেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছেন, টাকা দিতে কোনো শিক্ষার্থী আপত্তি জানালে তাকে পরীক্ষায় প্রাপ্য যথাযথ নম্বর দেয়া হয় না। তাই নম্বর কম পাওয়ার ভয়ে শিক্ষার্থীরা এসব অনিয়মের কথা প্রকাশ করতে ভয় পান।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন ভূঁইয়ার মোবাইলে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও কল ধরেননি তিনি।

তবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন কলেজের পদার্থ বিভাগের প্রধান বিজয় কৃষ্ণ রায়। তিনি দাবি করেছেন, ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য কলেজ থেকে যে অর্থ ধার্য করা হয়, সেই টাকা দিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে নিতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ৩শ টাকা হারে নেয়া হচ্ছে। তবে যে শিক্ষার্থী ৪শ টাকা নেয়ার অভিযোগ করেছে, সে ভুল অভিযোগ করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে, রসায়ন বিভাগের প্রধান সাইফুল ইসলাম দাবি করেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা মোতাবেক টাকা নেয়া হচ্ছে। এর বাইরে কোনো অতিরিক্ত অর্থ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় না।

আর শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গণিত বিভাগের প্রধান মুনির আহম্মেদ। তিনি জানান, ৫২০ টাকা নেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

গণিত বিভাগের শিক্ষকদের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করছেন ওই বিভাগের কর্মচারী মো. ওজায়ের। মো. ওজায়ের বলেন, ‘গণিত বিভাগের ব্যবহারিক খাতা জমা দেয়ার সঙ্গে ৫২০ টাকাও জমা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। আর টাকা না দিলে আমি খাতা জমা নিতে পারব না।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;