অবৈধ বাঁধে হুমকির মুখে কাপ্তাই লেক



আলমগীর মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
বাঁধ দিয়ে লেক দখল, ছবি: বার্তা২৪.কম

বাঁধ দিয়ে লেক দখল, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ দখলদারদের দাপটে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ রাঙামাটির কাপ্তাই লেক। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে একে একে বাঁধ দিয়ে লেকের আয়তন ছোট করার পাশাপাশি মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসের উৎসবে মেতেছে অবৈধ দখলদাররা।

১৯৬০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর ওপর বাঁধ দেওয়া হয়। ফলে ৭২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশাল জলাধার সৃষ্টি হয়। হ্রদের কারণে জেলার ৫৪ হাজার একর কৃষিজমি পানিতে ডুবে যায়, যা পার্বত্য চট্টগ্রামের চাষযোগ্য জমির প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ। এই বাঁধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক লাখেরও বেশি মানুষ।

অন্যদিকে এ হ্রদের জন্যই কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন করে সরকারের কোষাগারে জমা পড়ছে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব। সারাদেশের মানুষের আমিষের চাহিদা মেটানোর অন্যতম একটি উৎস হ্রদটি।

লেকে বাঁধ দেওয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে নৌ-চলাচলেও

কাপ্তাই হ্রদকে বহু বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন একটি জলাশয় হিসেবে নানামুখী স্বপ্ন দেখানো হলেও এর মূল্যবান সম্পদ ও সৌন্দর্য রক্ষায় উল্লেখযোগ্য কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়নি সরকার। ইতিমধ্যেই হ্রদের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার ঘোনাগুলো এক শ্রেণীর প্রভাবশালী মহল বাঁধ দিয়ে নিজেদের মতো করে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছে। এতে করে হ্রদের আয়তন ছোট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রজনন ক্ষেত্র কমে মৎস্য সম্পদের উৎপাদনও হ্রাস পাচ্ছে। ব্যাঘাত ঘটছে নৌ-চলাচলেও।

এদিকে কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য সম্পদ রক্ষার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) কর্তৃপক্ষ স্বল্প জনবল নিয়ে এসব অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। বিএফডিসির সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে প্রায় অর্ধশত অবৈধ বাধ দিয়েছে প্রভাবশালীরা। যেগুলোর প্রায় অধিকাংশই জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখলে।

প্রাপ্ত তথ্যানুসারে হ্রদের অন্যতম প্রধান মৎস্য সম্পদ নির্ভর লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বাঁধের সংখ্যা বেশি। স্থানীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে এসব এলাকায় নামে-বেনামে সমিতি বা ব্যক্তি বিশেষের নামে মৎস্য প্রকল্পের নাম দিয়ে কাপ্তাই হ্রদের ঘোনাগুলোতে মাটির বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে।

বিএফডিসি'র লেক দখলমুক্তকরণ

এদিকে অবৈধভাবে গড়ে তোলা এসব বাঁধ ধ্বংসের অভিযানে নামলেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের বাধার মুখে পড়ছে বিএফডিসি'র রাঙামাটি কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএফডিসি রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কাপ্তাই হ্রদে মাছের অন্যতম উৎস হলো কাচালং ও মাইনী নদীর মোহনা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সেসব এলাকায় মাছের উপস্থিতি কম। বাঁধ দিয়ে হ্রদ দখল করে রাখায় মাছের প্রজনন ক্ষেত্র কমে এসেছে। তাই আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইউএনও ও তৃণমূল পর্যায়ের জনসাধারণকে নিয়ে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অবৈধ বাঁধ ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেই। ইতিমধ্যেই লংগদু উপজেলায় কয়েকটি বাঁধ কেটে লেকের সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ব্যবস্থাপক জানান, আমরা কিছু কিছু এলাকায় বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছি এটা ঠিক। কিন্তু যেকোনো মূল্যেই আমরা অবৈধ বাঁধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। এভাবে অবৈধভাবে যদি কাপ্তাই হ্রদ দখলের মহোৎসব চলতে থাকে তাহলে, মৎস্য উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি নৌ-চলাচলে ব্যাঘাত ঘটবে এবং খুব শীঘ্রই এই অঞ্চলের বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমে আসবে। এছাড়াও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম হ্রদের খেতাবটাও হারাতে হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;