ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো মৌসুমে লাভ নিয়ে চিন্তায় কৃষকরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ঠাকুরগাঁও
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঠাকুরগাঁওয়ের মাঠে মাঠে এখন বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, বীজতলা হতে চারা উত্তোলন ও রোপণের কাজে ব্যস্ত এই জেলার কৃষকরা। প্রতিবছর বোরো ধানের দাম না পাওয়ার পরও হতাশা নিয়ে ক্ষেতে কাজ করছেন তারা।

কৃষকদের অভিযোগ কৃষি সরঞ্জাম সহ কীটনাশক বিষ, ভিটামিন ও জৈব সারের দাম বেশি হওয়ায় বোরো ধান উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে। এছাড়াও শ্রমিকদের মজুরি বেশি হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন না তারা।

বিজ্ঞাপন

জেলা কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, চলতি বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় ৬২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে বাকি জমিতে চারা রোপণ সম্পন্ন হবে। এ বছর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯০ মেট্রিক টন চাল।

রহিমানপুর ইউনিয়নের কৃষক পরিমল বার্তা২৪.কমকে জানান, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কিন্তু এখানে বর্তমানে কৃষকদের কোন উন্নতি নেই। আজ আমরা বোরো ধান রোপণ করছি। এটাতে যে পরিমাণ খরচ হয় তাতে আমাদের পত্তা হয় না। যদি সরকার আমাদের কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য দেয় তাহলে আমাদের পত্তা হবে। তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন যাতে কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য দেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

নন্দন, পরিমল, সুবাশসহ আরো বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, গতবছর আমরা বোরো ধান করছি কিন্তু ধান বিক্রির সময় দাম পাইনি। অনেক ক্ষতি হয়েছে আমাদের। বিষ, ভিটামিন ও জৈব সার তারপর বিঘা প্রতি মাটি কাটানি সব কিছুর খরচ দিয়ে আমাদের লাভের থেকে ক্ষতি হয়েছে বেশি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, আমরা ইতোমধ্যে কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারে বোরো ধান উৎপাদনে বাম্পার ফলন আশা করা যায়।