ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৫

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রেফতারকৃত পাঁচ আসামি, ছবি: বার্তা২৪.কম

গ্রেফতারকৃত পাঁচ আসামি, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার আলোচিত গরু ব্যবসায়ী তৈয়ব আলী হত্যা মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার সময় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোও।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাণীশংকৈল থানা পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে সকালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার গোগর গ্রামে আব্দুল হালিমের ছেলে রবিউল (২৩), একই গ্রামের মুসলিম উদ্দীনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০), খলিলুর রহমানের ছেলে সাগর আলী (১৯), মোস্তফা আলমের ছেলে জুয়েল রানা (১৬) ও মতিউর রহমানের ছেলে শাহ নেওয়া (১৯)। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং বাকি দুজন হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছে বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নিহত গরু ব্যবসায়ী পার্শ্ববর্তী কাতিহার ও গোগর বাজারে গরু বিক্রয় করেন। তার কাছে গরু বিক্রির নগদ দেড় লাখ টাকা আছে এমন খবর পেয়ে টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে আসামিরা। ওই দিন রাতে বাড়িতে ফেরার সময় গরু ব্যবসায়ী তৈয়ব আলীর টাকা চায় তারা। টাকা না পেয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। পরে গরু ব্যবসায়ীকে গম ক্ষেতের মাটির নিচে পুতে রাখে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

হত্যাকাণ্ডের পর গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া নগদ ৭ হাজার টাকা আসামিরা ভাগ বণ্টন করে নেন এবং তৈয়ব আলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি আসামি রবিউলের কাছে রেখে দেন।

এর আগে গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাজার থেকে গরু বিক্রি করে বাড়ি ফেরার সময় নিখোঁজ হয় রাণীশংকৈল উপজেলার গরু ব্যবসায়ী তৈয়ব আলী। পরের দিন রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে একটি গমক্ষেতে রক্ত দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। গমক্ষেতের মাটি খুড়ে তৈয়ব আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের ভাই বাবুল হোসেন বাদী হয়ে রাণীশংকৈল থানায় মামলা করেন।’

পীরগঞ্জ ও রাীণশংকৈলের দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার তৌহি-উদ-দৌলা লুপম, রানীশংকৈল থানার ওসি তদন্ত খায়রুল আলম ডন মামলার তদন্ত শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার রহস্য বের করা হয়।