ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে সবুজের সমারোহ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য বালুচর। সেই বালুচরে কৃষকরা চাষ করেছেন খেসারী কালাই। যত দূর চোখ যায় নদের বুক জুড়ে শুধুই সবুজের সমারোহ।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুন্দরগঞ্জ ঘেষা ব্রহ্মপুত্র নদের হরিপুর ও পোড়ার চরসহ বিস্তৃণ বালুচরের খেসারী কালাইয়ের ক্ষেত এখন গাঢ় সবুজে পরিণত হয়েছে। শুধু খেসারী নয়, এর পাশাপাশি চাষ করেছেন মসুর কালাইও। গত বছরের তুলানায় এ বছর অধিক ফলন পাওয়ার আশা করছেন চরাঞ্চলের চাষিরা।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এখানকার চরগুলোতে ভূট্টা, মরিচ, মিষ্টি কুমড়া ও বাদাম চাষ হলেও কয়েক বছর ধরে এসব ফসলের পাশাপাশি খেসারী কালাইয়ে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। এবছরে খেসারী ও মসুর ডাল ১২৫ হেক্টর জমিতে (বালুচরে) চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
হরিপুর চরের কৃষক আয়নাল হোসেন বলেন, গত বছর ২০ শতক জমিতে খেসারী কালাই চাষ করেছিলাম। লাভবান হওয়ায় এ বছরে একবিঘা জমিতে চাষ করেছি।
পোড়ার চরের আরেক কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের দায়িত্বরত কর্মকার্তাদের পরামর্শে দুই বিঘা জমিতে খেসারী আবাদ করেছি। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। আশা করছি বিঘাপ্রতি প্রায় ৪ থেকে ৫ মণ কালাই ফলবে। বাজারে দাম ভালো পাওয়া গেলে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা লাভ থাকবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজা-ই-মাহমুদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, চরাঞ্চলের মাটিতে অল্প সময়ে আবাদ ভালো হয়। এখানে ফসল চাষ করতে পানি ও সার খুব একটা লাগে না। তাছাড়া কয়েকটা ফসল একসঙ্গে আবাদ করা যায়। আর খেসারী কালাই আবাদে বীজ ছিটানো ছাড়া আর কোনো খরচ নেই। নিরানী দিতে হয় না, পানি লাগে না, পরিশ্রমও একেবারে কম। তাই এটি চাষে কৃষকের আগ্রহ বেশি।