সাভারে ফুটপাত দখল করে মাছের ব্যবসায় মানিকগঞ্জের দারোগা



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার
সাভারে ফুটপাতে দখল করে মাছের বাজার

সাভারে ফুটপাতে দখল করে মাছের বাজার

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারে ফুটপাতে দখল করে সেখানে মাছের বাজারে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জে কর্মরত এক দারোগার বিরুদ্ধে। তার নাম ইলিয়াস হোসেন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলায় কোর্টে কর্মরত।

ফুটপাত দখল করে দারোগার মাছ ব্যবসার কারণে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে এস আই ইলিয়াস হোসেনের এ ধরনের তৎপরতার বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ও সাভার থানা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা বিব্রত। সেখানে থাকা কর্মচারীরা জানান, ফুটপাতে এই মাছের দোকানের মালিক ডিবির এস আই ইলিয়াস। কোনো কিছু বলার থাকলে তাকে বলতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাইওয়ে থানার একজন কর্মকর্তা জানান, আমরা উচ্ছেদ করতে গেলেই প্রথমেই জানানো হয়, দোকানটি বসিয়েছেন এসআই ইলিয়াস। অন্যগুলো উচ্ছেদ করতে গেলেই দোকানটি দেখিয়ে বলা হয়, দারোগার দোকান উচ্ছেদ না করে নিরীহ মানুষদের দোকান উচ্ছেদ করেন। এটা কোন বিচার। এসব কারণে আমরা বিব্রত।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন সাভার ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত থাকার সুবাদে রিপন নামে এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে নিয়ে উলাইল এলাকায় অভিনেতা ডিপজলের মাছের আড়তে মাছ ব্যবসা শুরু করেন এস আই ইলিয়াস।

ফুটপাত দখল করে মাছের ব্যবসা

গত ডিসেম্বরে ঢাকা জেলা থেকে তাকে বদলি করা হয় মানিকগঞ্জে। সাভারে রাজ্জাক মার্কেটের মাছের ব্যবসায়ী নুরু মিয়া বার্তা২৪.কম-কে জানান, আমরা রাজ্জাক মার্কেটে মোটা অঙ্কের অগ্রিম জামানত ও ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করি। সম্প্রতি ডিবির গাড়ি নিয়ে ইলিয়াস সাহেব সেখানে আসেন। তার দাপটে কয়েকজন রাতারাতি মার্কেটের সামনে চৌকি বসিয়ে শুরু করেন মাছের ব্যবসা। এতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া কিছু করার নেই আমাদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মার্কেটের ঠিক সামনের ফুটপাতে দারোগার নামে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করলে উল্টো আমাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়।

মনে করিয়ে দেওয়া হয়, এটা ডিবির ইলিয়াস সাহেবের দোকান। যাদের তিনি ফুটপাতে বসিয়েছেন তাদের দাপটেই আমরা যেখানে তটস্থ সেখানে পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করবো কিভাবে?

এসআই ইলিয়াসের মাছের ব্যবসা পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজ্জাক মার্কেটের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রাজ্জাক বার্তা২৪.কম-কে জানান, সম্প্রতি এসআই ইলিয়াস নিজেই আমার মার্কেটে আসেন দোকান ভাড়া নিতে। সামনের দিকে একটি দোকান দেখিয়ে সেটি তার নামে বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ করেন আমাকে।

তিনি আমাকে জানান, উলাইলে তার মাছের আড়ত আছে। সেখানে অবিক্রিত মাছগুলো খুচরা বাজারে বিক্রির জন্যে তার দোকানটি জরুরি দরকার।
জবাবে আমি জানাই, একজনের নামে বরাদ্দ ওই দোকানটির চুক্তির মেয়াদ শেষ না হওয়ার আগে আপনার নামে বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই। তারপর রাতারাতি দারোগার পক্ষে আমার মার্কেটের ঠিক সামনে চৌকি বসিয়ে মাছ ব্যবসা পরিচালনা করতে দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা আমার কাছে প্রতিকারের জন্যে এলেও পুলিশের ভয়ে কিছু বলতে পারিনি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানান, ফুটপাতের সামনে দারোগা ইলিয়াস দোকান বসানোর পর থেকে ফুটপাত মুক্ত রাখার বিষয়ে পুলিশের অভিযান থেমে গেছে।

মূলত তাকে ঘিরেই আবারও ফুটপাত দখলের মহোৎসব শুরু হয়েছে সাভারে।

ফুটপাত দখল করে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে

সাভার মডেল থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ বার্তা২৪.কম-কে জানান, ফুটপাত দখলকারীদের ফুটপাতে কোন ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশের কারো বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আসলে তা গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হবে।

ঢাকা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান জানান, ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসআই ইলিয়াস মানিকগঞ্জে থেকে সাভারে কি কাজ করেন তা আমাদের দেখার বিষয় না। তার জবাবদিহিতা মানিকগঞ্জে জেলা পুলিশের কাছে। তবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, মানিকগঞ্জে কর্মরত থেকে জেলার বাইরের কেউ কোনো অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে সেটা দেখবে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ। তবে জেলা পুলিশের কারো বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম বা অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ পেলে সেটি খতিয়ে দেখা হবে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এসআই ইলিয়াস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এক আত্মীয়ের পক্ষে দোকান বরাদ্দের বিষয়ে রাজ্জাক মার্কেটে গিয়েছিলাম এটা সত্যি। দোকান বরাদ্দ পাইনি। তিনি জানান, আমার আত্মীয়-স্বজন ব্যবসা করতেই পারে।

ফুটপাত দখল করে চৌকি বসিয়ে মাছের ব্যবসা শুরু করলেন কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আপনি কি আমাকে সেখানে দেখেছেন? আপনি কোথায় আছেন। আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই। জানেনই তো, আমি দারোগা। আমি তো আর ব্যবসা করতে পারি না। নিশ্চয়ই আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ ব্যবসা করছে। যাই হোক নিউজটিউজ করার দরকার নেই। আমি বলে দিচ্ছি ফুটপাত থেকে তারা দোকান সরিয়ে নেবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;