ডিবি পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এএসআই গ্রেফতার
ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দিনাজপুর জেলার হাকিমপুরে লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে বগুড়ার চতুর্থ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহাদৎ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ।
সোমবার (২ মার্চ) রাতে বগুড়া সদর থানা চত্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় শাহাদৎ হোসেন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে গ্রেফতার করে দিনাজপুরের হাকিমপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
রোববার(১ মার্চ) সন্ধ্যার পর হাকিমপুর থানার মহড়াপাড়া গ্রামে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গ্রামের বিভিন্ন লোকজনকে আটক করে মাইক্রোবাসে তোলেন এবং টাকার বিনিময়ে সেখান থেকে ছেড়ে দেন।
আটকদের মধ্যে আরমান নামে একজন নগদ টাকা দিতে না পারায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ধারীদের দেয়া একটি বিকাশ নম্বরে ১০ হাজার টাকা দেয়ার পরে মুক্তি পায়। ঘটনাটি রাতেই জানাজানি হলে আরমানের স্ত্রী তারামনি বেগম হাকিমপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন। মামলায় দেওয়া বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আখিউল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বগুড়ায় আসেন। তারা বগুড়া সদর থানা সংলগ্ন আকবরিয়া মার্কেটে সাজুর বিকাশের দোকানে গিয়ে বিকাশ রেজিস্ট্রার দেখে জানতে পারেন এএসআই শাহাদৎ হোসেন সোমবার দুপুরে নিজে স্বাক্ষর করে ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন। এরপর দিনাজপুর জেলা পুলিশের দল বগুড়া সদর থানা চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সনাতন চক্রবর্তীর রুমে বসেন। তারা কৌশলে শাহাদৎ হোসেনকে সেখানে ডেকে আনেন। ঘটনার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা কালে তিনি রুম থেকে দৌড়ে পালাবার চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশের দল তাকে ধাওয়া করে থানার সামনে রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে। হৈচৈ শুনে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর আলম রুম থেকে বের হন এবং শাহাদৎকে চিনতে পেরে তাকে ছাড়িয়ে নিতে দিনাজপুর থেকে আগত সাদা পোশাকের পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন। এসময় হাকিমপুর থানার এএসআই রাজুসহ দুইজন লাঞ্চিত হন। পরে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে শাহাদৎকে দিনাজপুর জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম বার্তা২৪. কমকে বলেন, বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে বগুড়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় এএসআই শাহাদৎকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বার্তা২৪.কমকে বলেন শাহাদৎ দৌড়ে পালানোর সময় ধর ধর শব্দে অনেক মানুষ সমবেত হয়। এসময় কী হয়েছে তা দেখা যায়নি।