ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শিবির ক্যাডার পিয়াস বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড নজরুল ইসলাম ওরফে কানা নজরুল (২৫) নিহত হয়েছেন। তিনি ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব হত্যা মামলাসহ তিন মামলার আসামি।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) ভোর পৌনে ৪টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের জনকল্যাণ হাই স্কুল মাঠে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
নিহত নজরুল একই উপজেলার অভিরামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, রোববার রাতে আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নে শিবির ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে শিবির কর্মীদের হামলায় আহত ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলার আসামিদের ধরতে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে আমান উল্যাহ্পুরে অভিযান চালায়। অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ভোরে পুলিশের একটি দল জনকল্যাণ মাঠে গেলে শিবির ক্যাডার পিয়াস বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। বেশ কিছুক্ষণ উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়ের একপর্যায়ে নজরুল গুলিবিদ্ধ হন আর বাকি শিবির ক্যাডাররা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ নজরুলকে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, একটি ধামা, তিনটি ছুরি ও পাঁচটি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা, অস্ত্র ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করা হচ্ছে।