বায়না দিয়েই সম্পত্তি দখলের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁদপুর
সম্পত্তির সীমানা দেওেয়াল ভাঙা ও গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

সম্পত্তির সীমানা দেওেয়াল ভাঙা ও গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের মকিমাবাদ গ্রামে বায়নাপত্রের দাবিতে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। সম্পত্তি দখল করতে সোমবার বিকেলে ওই সম্পত্তির সীমানা দেওেয়াল ভাঙা ও গাছ কেটে ফেলা হয়।

ওই সম্পত্তির মালিক মনোয়ারা বেগমের স্বামী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার শ্বশুর আবদুল লতিফ মকিমাবাদ মৌজার বিএস ১১১৪ দাগের ১৯ শতাংশের অন্দরে (বাড়ি) সাড়ে চার শতাংশ ভূমি আমার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, তার ভাই সাইফুল ইসলাম ও কামাল হোসেনকে দান করেন। পরে ভাইয়েরা তাদের সম্পত্তিও বোন মনোয়ারা বেগমকে দান করেন।

ভোগ দখলে থাকা সম্পত্তি প্রসঙ্গে বিল্লাল হোসেন বলেন, সোমবার মকিমাবাদ গ্রামের মনজিল হোসেন মজুমদার নামে একজন অন্যান্য লোকজনকে সাথে নিয়ে উল্লেখিত ভূমির দেয়াল ভাঙচুর ও গাছ কেটে ফেলেন। ওই সম্পত্তির ওপর ঘর নির্মাণ করার জন্য বেশ কয়েকটি বাঁশের খুঁটি দিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, দাতাদের একজন সাইফুল ইসলাম উল্লেখিত ভূমি বিক্রি করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় মনজিল হোসেনের সাথে ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই একটি বায়নাপত্র হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বায়নার শর্ত অনুযায়ী বাকি টাকা পরিশোধ না করায়, বায়নাপত্রের মেয়াদ ওই বছরের ১৬ অক্টোবর শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু বৃদ্ধিকৃত মেয়াদের মধ্যেও বাকি টাকা পরিশোধ না করায়, শর্ত অনুযায়ী বায়নাপত্রটি বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। এর মধ্যেও এক বছর পার হয়ে গেছে।

জানতে চাইলে মনজিল হোসেন বলেন, ভূমিদাতা সাইফুল ইসলামের সাথে বায়নাপত্র হয়। অজানা কারণে বায়নাপত্রের বাকি টাকা গ্রহণ করেননি সাইফুল ইসলাম। ওই সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে দেননি। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিসহ স্থানীয় গণ্যমান্যদের অবহিত করেছি। তবে দেওয়াল ভেঙে গাছ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেন মনজিল হোসেন।

অপরদিকে মনোয়ারা বেগমের ভাই মো. সাইফুল ইসলাম সেলিম বলেন, মনজিল হোসেনেকে অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেননি, যার ফলে শর্ত অনুযায়ী বায়নাপত্রটি বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। আমি ও আমাদের পরিবার ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছি। তাই মনোয়ারা বেগমকে উল্লেখিত ভূমি দান করে দিয়েছি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;