মৌ মৌ মুকুলের গন্ধ আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে
চাঁপাইনবাবগঞ্জকে বলা হয় আমের রাজধানী। সেই আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জুড়ে মৌ মৌ সু বাতাস ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। যত দূর চোখ যায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে হলুদ আমের মুকুল। আর এসব মুকুল রক্ষায় পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তারা বলছেন, আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে কাঙ্ক্ষিত মুকুল আসেনি এবার আম গাছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার গোলাপ বাজার এলাকার আম চাষি জসিম উদ্দীন জানান, গেল প্রায় তিন চার বছর কেমিক্যাল নামক অপবাদের কারণে হুমকির মধ্যে পড়েছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম উৎপাদন। তবে গত মৌসুমে সে অপবাদ কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠে এখানকার আম চাষিরা। নিজ নিজ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে কৃষক। কিন্তু এবার প্রধান বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে আবহাওয়া ও পোকা।
তিনি জানান, আবহাওয়ার কারণে এবার মুকুল কিছুটা দেরিতে ফুটেছে। আবার যে মুকুল ফুটেছে তা কুয়াশা ও পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে মুকুল রক্ষায় অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে।
বিনোদপুর এলাকার আম চাষি সাইফুল আলম জানান, পর পর কয়েক বছর লোকসানের পর এবার ভাল ফল ও দামের আশায় বুক বেধেছে কৃষক। মুকুল রক্ষায় প্রতিদিন গাছে গাছে স্প্রে করতে হচ্ছে। তিনি স্থানীয় কৃষি বিভাগ কে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পরামর্শ দেয়ার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ফলন বাড়াতে আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখতে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ তদারকি করা হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নজরুল ইসলাম জানান, যেসব গাছে মুকুল এসেছে সেসব গাছে কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া আম চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ অব্যাহত রয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চলতি বছর ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৪০ হাজার মেট্রিক টনের কম।