ফলন ভালো হলেও খিরার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না কৃষক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
তিন থেকে চার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে খিরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

তিন থেকে চার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে খিরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এ বছর খিরার ফলন খুবই ভালো হয়েছে। কিন্তু ফলন ভালো হলেও উৎপাদিত খিরার বাজার দর কম থাকায় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা।

যে খিরা কমপক্ষে পনেরো থেকে বিশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ার কথা, সেসব খিরা এখন বিক্রি করতে হচ্ছে তিন থেকে চার টাকা কেজি দরে। অধিক লাভের আশায় খিরা চাষ করে কৃষকরা এখন উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নিতেই হিমশিম খাচ্ছেন।

এ অবস্থায় খিরা চাষ করে চরম হতাশায় পড়েছেন চাষিরা। উৎপাদিত খিরা নিয়ে তারা পড়েছেন বিপাকে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ বছর কেন্দুয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে মোট ২০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে খিরার সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়েছে মোজাফরপুর ইউনিয়নে। সবচেয়ে বেশি খিরার চাষ করা হয়েছে।

স্বল্প বিনিয়োগে অধিক লাভ হওয়ায় খিরা চাষে কৃষকের আগ্রহ বেশি

কৃষকরা জানান, ‘খিরা’ একটি উপাদেয় সবজি। গুল্মজাতীয় সবজির মধ্যে শসার মতো খিরাই একমাত্র কাঁচা খাওয়ার উপযোগী। ‘খিরা’ সালাদের উপকরণ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। গরমে পানির তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি শরীরের চর্বি কমাতেও সহায়ক ‘খিরা’। বাজারে দেশীয় উফশী ও হাইব্রিড দুই জাতের খিরা চাষ হয়ে থাকে। জমিতে বীজ বপনের ১০-১৫ দিনের মাথায় চারা গজায়। এক মাসের মাথায় গাছে ফুল ও ফলের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয়। দেড় মাস পূর্ণ হওয়ার পর গাছ থেকে খিরা সংগ্রহ করা হয়। অল্প সময়ে স্বল্প বিনিয়োগে অধিক লাভ করা যায়। তাই খিরা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেশি।

মোজাফরপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল আলম ছোটন বলেন, প্রতি ১০ শতাংশ (১ কাঠা) জমিতে খিরা আবাদ করতে সার-কীটনাশক ও শ্রমিকসহ ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর প্রচণ্ড শীত থাকার পরও খিরার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। কিন্তু ৩ থেকে ৪ টাকা কেজি দরে এবং প্রতি এক মণ খিরা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। অথচ এসব খিরা পনেরো থেকে বিশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। রাজধানীর যাত্রাবাড়িসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা প্রতিদনই এসব খিরা কিনে ট্রাক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

একই এলাকার কৃষক আরাফাত মিয়া বলেন, এক কাঠা জমিতে খিরা চাষ করতে যে টাকা খরচ হয়েছে পুরো জমির খিরা বিক্রি করে সেই টাকা এবার উঠানো যাবে না। বাজারে খিরার দাম নেই বললেই চলে। তিন-চার টাকা কেজি দরে খিরা বিক্রি করতে হচ্ছে। খিরা নিয়ে আমরা খুবই হতাশার মধ্যে আছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, খিরার উৎপাদন দেখতে মোজাফরপুর গ্রামে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মতে এ বছর যে পরিমাণ জমিতে খিরার আবাদ করা হয়েছে গত বছর সে তুলনায় ছিল অর্ধেক। আবাদ ও উৎপাদন দুটোই বেশি হয়েছে। কিন্তু খিরার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। তবে আগামী রমজান মাস পর্যন্ত খিরা থাকলে কৃষকরা তাদের উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নিতে পারবে বলে আশা করছি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;