বন্দীদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে: কারা মহাপরিদর্শক
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম কামাল পাশা বলেছেন, ‘কারাগার সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান। এখানে দায়িত্বশীল মনোভাব নিয়ে কর্তব্য পালন করতে হবে। নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি বন্দীদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে নবীন রিক্রুট ৫৭তম ব্যাচের কারা রক্ষীদের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজ এবং শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কারা মহাপরিদর্শক, ‘প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে অপরাধীদের চরিত্র সংশোধন করতে হবে। বন্দীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এরইমধ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর জন্য কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান খুবই জরুরি।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জেলের উন্নতি ও অগ্রযাত্রার বিষয়টি সত্যিই ইতিবাচক ও প্রশংসার দাবিদার। আমি আশা করছি, আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে সরকারের সাফল্যকে আরও ত্বরান্বিত করবেন। কারাভ্যন্তরে জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যাতে কোনরূপ সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী তৎপরতা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সর্তক থাকবেন।’
৫৭ তম কারারক্ষী ব্যাচে সব বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী নয়ন, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী মো. আনোয়ার হোসেন এবং বেস্ট ফায়ারার নির্বাচিত হওয়ায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী বায়োজিত হোসেনকে ক্রেস্ট প্রদান করেন প্রধান অতিথি।
এ সময় অরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন, ডিআইজি প্রিজন্স (সদর দফতর) টিপু সুলতান, ময়মনসিংহ বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবীর, চট্টগ্রাম বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. ফজলুল হক, রংপুর বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. আলতাফ হোসেন, বরিশাল বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. তৌহিদুল ইসলাম, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সুপার রত্মা রায়, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সুপার জাহানারা বেগম, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সুপার মো. সফিকুল ইসলাম, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সুপার হালিমা খাতুন প্রমুখ।