খাল-নদীকে আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে চায় সরকার
নদী ও খালকে তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। এ জন্য শতবর্ষ পরিকল্পনার আওতায় পটুয়াখালী জেলায় চলছে খাল খনন কর্মসূচি। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জেলায় ১৬টি খালের ৬২ কিলোমিটার খনন করা হচ্ছে। এগুলো সম্পন্ন হলে জেলায় কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়াসহ স্থানীয় এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষা পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘ দিনেও খনন না করায় দখল আর দূষণে অনেক আগেই যৌবন হারিয়েছে উপকূলের খাল ও নদীগুলো। ফলে খাল ও নদী কেন্দ্রিক জীব বৈচিত্র্য যেমন হুমকিতে আছে তেমনি নদী নির্ভর মানুষ গুলোকেও নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। তবে এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি নদী ও খালকে তার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে দিতে কাজ শুরু করেছে সরকার। শতবর্ষ পরিকল্পনার আওতায় খালগুলোকে খনন করে তার স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, গুরুত্ব বিবেচনা করে ধাপে ধাপে খনন করার লক্ষ্যে খাল নির্ধারণ করা হচ্ছে। ২০১৮-২০১৯ এবং ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে জেলায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬২ কিলোমিটার খাল খনন কর্মসূচি চলছে।
বিগত দিনে খাল খনন নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় এ বছর সঠিকভাবে এবং নির্দিষ্ট ডিজাইনে খাল খনন নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে চলছে কঠোর মনিটরিং। প্রতিটি প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড স্থাপনের পাশাপাশি সরকারের প্রতিনিধিরাও নিয়মিত তদারকি করছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী।
প্রথম পর্যায়ে জেলার এসব খাল খনন সম্পন্ন হলে দ্বিতীয় ধাপে প্রায় অর্ধশত খাল খননের তালিকা তৈরির কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আর এভাবেই উপকূলের শতভাগ খাল ও নদী তাদের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পাবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।