অসহায় নারীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন কল্যাণী
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার অসহায় ও কর্মহীন নারীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন কল্যাণী হাসান নামে এক সংগ্রামী নারী। তিনি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কল্যাণে প্রতিষ্ঠা করেছেন কল্যাণী ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান।
একইসঙ্গে এলাকার কর্মহীন নারীদের স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার লক্ষে কল্যাণী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে বাঁশ-বেতের কাজ, শাড়ি-পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন পোশাকে কারুকাজ ও সেলাইয়ের কাজ শিখিয়ে আসছেন তিনি। কল্যাণী হাসান পেশায় শিক্ষক হলেও সমাজে উন্নয়নকর্মী হিসেবে পরিচিত।
কল্যাণী ফাউন্ডেশনের কারু কাজ শিখতে আসা স্কুলছাত্রী মনিকা সূত্রধরের সঙ্গে কথা হলে সে জানায়, আমি এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। এলাকার মানুষের কাছে শুনেছি কল্যাণী ফাউন্ডেশন বিনামূল্যে কারুকাজ শেখায়। আমিও শিখতে এসেছি।
বাঁশ-বেতের কাজ শিখতে আসা মিনতি রাণী জানান, অবসর সময়ে বাড়িতে বসে থাকি। তাই ভাবলাম, বাড়িতে বসে না থেকে বাঁশ-বেতের কাজটা শিখব। তাই কল্যাণী ফাউন্ডেশনে এসে কাজ শিখছি।
কল্যাণী ফাউন্ডেশনের কারুকাজ ও সেলাই কাজের প্রশিক্ষক বিলকিস আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এলাকার কর্মহীন নারী ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের আমরা বিনামূল্যে কাজ শিখিয়ে আসছি এবং কাজ শিখে যাতে তারা বাড়িতে এসব কাজ করে উপার্জন করতে পারে সেজন্য শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিও আমরা দিয়ে দিচ্ছি।
এ বিষয়ে কল্যাণী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কল্যাণী হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বাবার অভাবের সংসারে ছোটবেলায় খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। তাই অভাবী ও অসহায় মানুষের দুঃখ আমি ছোটবেলা থেকেই বুঝতাম এবং অসহায় মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতাম। সেই লক্ষেই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়েই ২০১৫ সালে কল্যাণী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করি। তবে কল্যাণী ফাউন্ডেশনের প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় ইচ্ছে থাকার পরও সাধ্য অনুযায়ী সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই তিনি সরকারি সহযোগিতা কামনা করছেন।