‘শিগগির ছেঁউড়িয়াতে লালন ভক্তদের স্থায়ী আবাস’
ছেঁউড়িয়া থেকে: ছেঁউড়িয়াতে লালন ভক্ত ও সাধুদের স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা শিগগিরই সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।
তিনি বলেছেন, ‘লালনের ভক্ত ও সাধুদের জন্য স্থায়ীভাবে ছেঁউড়িয়াতে বাসস্থানের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। এজন্য লালন সংশ্লিষ্ট সব কিছুতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সাধ্য মতো পাশে থাকবে।’
রোববার (8 মার্চ) রাত ৮টায় দোলপূর্ণিমায় লালন স্মরণ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় একটা সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় হতেই পারে। এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কুষ্টিয়াই একমাত্র যোগ্য জায়গা। এতে এই জনপদসহ দেশীয় সংস্কৃতি উপকৃত হবে।’
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুষ্টিয়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশিদুল ইসলাম বিপ্লব এবং লালন বিষয়ে আলোচনার প্রধান আলোচক কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান।
লালন বিষয়ক প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.শাহীনুর রহমান বলেন, ‘লালন একাধারে একজন মরমি কবি, সাহিত্যিক, সাধক, গীতিকার, সুরকার ও মিউজিশিয়ান। তিনি একাধারে একজন নারীবাদীও। লালন শাহ যখন নারী অধিকার নিয়ে কথা বলেছেন, তখন এত এত আন্দোলন হয়নি। এক কথায় লালন মহাজ্ঞানী, স্বশিক্ষিত একজন মানবতাবাদী আলোকবর্তিকা।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লালনকে নিয়ে লেখা ‘সোনার মানুষ’ নামে একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এদিকে, দোলপূর্ণিমায় লালন স্মরণ উৎসবে যোগ দিতে ভোর থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে লালন ভক্ত ও সাধুগুরুদের পদ ভারে মুখরিত হয়ে উঠে লালন একাডেমি, আখড়াবারি এবং মেলা প্রাঙ্গণ। আগত সাধু, ভক্ত ও অনুরাগীরা গোল হয়ে বসে লালনের গান গাইতে থাকেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লালন সংগীত পরিবেশন করেন লালনের খেলাফত পাওয়া শিল্পীগণ।