ছেঁউড়িয়ায় ‘আলেক সাঁই’ ডাকে পুণ্যসেবা
ছেঁউড়িয়া থেকে: দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে লালন একাডেমির প্রধান ফটক বন্ধ। ভেতরে সারিবদ্ধভাবে বসে আছেন হাজারো বাউল-ফকির ও সাধু-ভক্ত। তারা রয়েছেন ‘আলেক সাঁই’ ডাকের অপেক্ষায়।
সবার সামনে কলাপাতায় পরিবেশন করা হয়েছে খাবার, যার নাম পুণ্যসেবা। কলাপাতায় রয়েছে—সাদাভাত, ত্রিব্যঞ্জন (তিন ধরনের সবজি), ডাল, ইলিশ মাছ ও দই।
সোমবার (৯ মার্চ) দুপুর সোয়া দুইটায় মাজারের খাদেম ‘আলেক সাঁই’ ডাক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সাত হাজার বাউল-ফকির, সাধু-ভক্ত পুণ্যসেবা গ্রহণ করেন। এই পুণ্যসেবার মধ্য দিয়ে লালন স্মরণোৎসবের সাধুসঙ্গ শেষ হচ্ছে। এরপর সাধুরা চলে যাবেন যে যার গন্তব্যে।
এর আগে রোববার রাতে রাখাল সেবার (মুড়ি) মধ্য দিয়ে দৌলপূর্ণিমার উৎসব ও সাধুসঙ্গ শুরু হয়।
কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন মাজারের খাদেম ফকির মোহাম্মদ আলী জানান, বাউলের চারণভূমিতে আসা হাজার হাজার লালন-ভক্ত, সাধু-গুরুদের সোমবার সকালে বাল্যসেবা (পায়েশ ও মুড়ি) দেওয়া হয়েছে। এরপর দুপুরে মরা কালীগঙ্গায় গোসল সেরে ইলিশ মাছ-ভাত ও ত্রিব্যঞ্জন দিয়ে পুণ্যসেবা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, দাওয়াত ছাড়াই এখানে মানুষ ছুটে আসেন দলে দলে, হাজারে হাজারে। আবারও সাধুরা ফিরে আসবেন সাঁইজির তিরোধান দিবসে।
লালন একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম হক জানান, এবারে পুণ্যসেবায় ৫০০ কেজি ইলিশ মাছ, ৫০ মণ চাল, ২০০ কেজি ডাল, ২০ মণ সবজি ও ১৩ মণ দই দিয়ে প্রায় ৭ হাজার সাধুভক্তদের আপ্যায়ন করা হয়েছে।