সালথায় দু'দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২৫

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফরিদপুরের সালথায় পুর্বশত্রুতার জের ধরে দু'দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৯ মার্চ) রাতে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুর্বশত্রুতার জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় ইউসুফদিয়া বাজারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানের সমর্থক রাজিবের সঙ্গে প্রতিপক্ষ এনায়েত হোসেনের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই সূত্রধরে রাত ৮টার দিকে উভয় দলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পাঁচ পুলিশসহ ২৫ জন আহত হয়। আহতদের নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মো. এনায়েত হোসেন বলেন, আমি বাড়ি যাওয়ার সময় ওয়াহিদুজ্জামানের সমর্থকরা আমার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে আমার সমর্থক আনিস, সাব্বির, শরিফুল, রিপনসহ ১০ জন আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এবিষয়ে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমার সমর্থক রাজীবসহ কয়েকজন ইউসুফদিয়া বাজারে গেলে এনায়েতের লোকজন তাদের উপর হামলা করে। এ ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে আমার সমর্থক ৭/৮ জন আহত হয়েছে। তাদের ফরিদপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সালথা থানার তদন্ত অফিসার সুব্রত গোলদার বলেন, ইউসুফদিয়া গ্রামের সংঘর্ষে এস.আই মোস্তফাসহ ৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। এঘটনায় মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও এনায়েত হোসেনসহ ৩০ জন এজাহারভুক্ত এবং অজ্ঞাতনামা ২/৩ শত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।