ভাঙতে শুরু করেছে ‘সাধুর হাট’
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে বাউল সাধুদের মিলনমেলা ‘সাধুর হাট’ ভাঙতে শুরু করেছে।
সোমবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুণ্যসেবার মধ্য দিয়ে শেষ হয় সাধুসঙ্গ। যার ফলে ভাঙতে শুরু করে সাধুর হাট। এরপর অনেক বাউল তাদের আপন নীড়ে ফিরে যান। আবার অনেক বাউল সাধু এখনো আখড়াবাড়িতে রয়ে গেছেন।
মূলত গত রোববার থেকে শুরু হওয়া সাধু সংঘ সোমবার দুপুরে শেষ হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বাউলভক্তরা জানান, সাঁইজির জীবদ্দশায় শুধুমাত্র তার ভক্ত আর শিষ্যদের নিয়ে আড়াই দিনের উৎসব হতো। সেই নিয়ম মেনেই বাউলরা ভাটায় আসেন, উজানে ফিরে যান আপন নিবাসে। প্রকৃত বাউলরা সরকারি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে খোঁজ-খবরও রাখেন না। লালন আখড়ার আশপাশে ও একাডেমির নিচে যারা আসন গাড়েন তারা সাঁইজিকে ভক্তি আর আরাধনায় নিমগ্ন থাকেন। ওই আড়াই দিনে তারা কখনো স্থান ত্যাগ করেন না।
জহুরা নামে একজন জানান, লালনের এ ধামে আসলে মনের সকল কলুষতা দূর হয়। তাই আবারো তিরোধান দিবসে এখানে আসবেন তিনি।
লালন একাডেমির ভারপ্রাপ্ত সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম হক জানান, আয়োজনে যোগ দেয়ার জন্য বাউলদের কোনো চিঠি দেয়া হয় না, নিমন্ত্রণ জানানো হয় না। তারপরও এক অদৃশ্য টানে এরা দলে দলে ছুটে আসেন এ বাউল ধামে।
এদিকে বাউল সম্রাটের জীবন ও কর্মের উপর নিয়মিত আলোচনা চলবে মঙ্গলবারও (১০ মার্চ)। আজ সন্ধ্যায় সমাপনী দিনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আলোচনা শেষে লালন মঞ্চে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাতভর অনুষ্ঠান চলবে। লালন একাডেমির শিল্পীরা এতে অংশ নেবেন।