ফসলের মাঠে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন
গাইবান্ধার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ করা হচ্ছে ইরি-বোরো ধান। সোনালী ফসলের আশায় বুক বেঁধেছেন চাষিরা। জমিতে সার-কীটনাশক প্রয়োগসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এ দৃশ্য দেখলে মনে হবে, যেন ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন।
সরজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি এলাকার ইরি-বোরো ক্ষেতগুলো লালচে থেকে সবুজ হয়ে উঠেছে। কৃষকের এখন ব্যস্ত সময়। কাউকে কাউকে দেখা গেছে পানি দিতে ব্যস্ত। কেউবা ব্যস্ত নিড়ানিতে, কেউবা সার-কীটনাশক নিয়ে।
গাইবান্ধা অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হলেও, ধানই এখানকার প্রধান ফসল। যুগ যুগ ধরে ধান উৎপাদন করে আসছেন এখানকার কৃষকরা। এ ফসল দিয়ে চলে তাদের সংসার। গত বছর বন্যায়। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত জমিতে কৃষকরা রোপণ করেছেন ইরি-বোরো ধান।
ফুলছড়ি এলাকার কৃষক আলাউদ্দিন মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, একদিকে ক্ষতি হয়েছে বন্যায়। অপরদিকে ঘন কুয়াশা নষ্ট করেছে ধানের চারা। তবুও বন্যার ক্ষতিপূরণের আশায় ধার-দেনা করে ইরি ধানের আবাদ করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার অধিক ফসল ঘরে তোলা যেতে পারে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আরেক কৃষক মোতালেম মিয়া বলেন, ধান ক্ষেতে দুই দফায় সার-কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। ধানগাছের চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে এবারে ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। সরকার যদি ন্যায্য দাম দেয়, তাহলে লাভবান হওয়া সম্ভব।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে জানান, চলতি মৌসুমে গাইবান্ধার ৭টি উপজেলায় এক লাখ ৩৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানচাষ করেছেন কৃষকরা। তাদের ভালো ফলন পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।