রাঙামাটিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে ৩৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প



আলমগীর মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
৩৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

৩৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্রদ ও পর্বতবেষ্টিত পার্বত্য জেলা রাঙামাটি দেশের সমতলীয় জেলাগুলো থেকে এখনো পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। জেলার মোট আয়তনের এক তৃতীয়াংশ এলাকা পানিপথ নির্ভর হওয়ায় গ্রামীণ রাস্তা-ঘাটসহ সংযোগ সড়কের অভাবে বছরগুলোতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি পণ্যগুলো সময়মতো বাজারজাত করতে পারতো না এখানকার বাসিন্দারা।

দুর্গমতার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জেলার অরণ্যবেষ্টিত এলাকাগুলোতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরাও অবস্থান নিয়ে চালাচ্ছে তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতা। প্রতিনিয়তই এসব সন্ত্রাসীগোষ্ঠী নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত হয়ে ধারাবাহিকভাবে ব্যাপক প্রাণহানী ঘটিয়ে চলেছে।

এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ইতোমধ্যেই ১১৭ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে

ইতোমধ্যেই সরকারের বিভিন্ন সংস্থাসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত সুপারিশের আলোকে সরকারের পক্ষ থেকে রাঙামাটির নদীপথ নির্ভর উপজেলাগুলোতে সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ গ্রামীণ পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ সড়ক, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) মাধ্যমে অত্রাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হতে থাকায় পাহাড়ের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগসহ এখানকার মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এনে দিচ্ছে। এলজিইডি’র মাধ্যমে বর্তমানে রাঙামাটিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার প্রকল্প।

সংস্থাটির অফিস সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, এলজিইডির অধীনে রাঙামাটিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২৬২টি স্কীমের বিপরীতে প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ৩৩৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। স্কীমগুলোর চুক্তি মূল্য ২৫৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

গ্রাম হবে শহর, ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই ১১৭ কিলোমিটার রাস্তা ও ১ হাজার ৪৪৫ মিটার ব্রিজ-কালভার্ট নিয়ে মোট ১৬২টি স্কীম শেষ হয়েছে। এছাড়া চলমান থাকা ৯৫টি স্কীমের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ৮৪ কিলোমিটার রাস্তা ও ৯৪৭ মিটার ব্রিজ-কালভার্ট।

এলজিইডি রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তালেব চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, গ্রামকে শহর বানানোর যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন সেই আলোকে রাঙামাটিতে এলজিইডি কর্তৃক গ্রামীণ অবকাঠামো, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তালেব চৌধুরী বলেন, শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামেও যাতে নিশ্চিত করা যায় সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গ্রামের মানুষ যেন শহরমুখী না হয়ে গ্রামেই তাদের নিজস্বপণ্য বাজারজাত করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গ্রাম থেকেই সংগ্রহ করতে পারেন। সেজন্য এখানকার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোকে সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যেই অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে।

অফিস সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, এলজিইডি রাঙামাটি অফিসের মাধ্যমে জেলায় চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে “পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-২য় পর্যায়” প্রকল্পের আওতায় ২১টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলোর চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে ৬০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এসব প্রকল্পের মধ্যে বর্তমানে চলমান আছে ৯টি এবং ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে ১২টি।

এগিয়ে চলছে প্রকল্পের কাজ

“পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: পার্বত্য চট্টগ্রাম-২য় পর্যায়” প্রকল্পের আওতায় ৬১টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যেগুলোর চুক্তি মূল্য হলো ১২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে ৩৯টি, চলমান রয়েছে ২২টি প্রকল্প।

“অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প-২” প্রকল্পের আওতায় ১৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এসব প্রকল্পের চুক্তি মূল্য প্রায় ২০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। বর্তমানে ২টি প্রকল্প চালু আছে। সমাপ্ত হয়েছে ১৩টি প্রকল্প।

“বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুর্নবাসন” প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয়েছে ৪টি প্রকল্প। যার চুক্তি মূল্য ৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। ২টি সমাপ্ত হলেও আরো ২টি চলমান রয়েছে।

“মুক্তিযোদ্ধাদের ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ” প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয়েছে চারটি প্রকল্প। চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা। সবগুলো প্রকল্পই এখনো চলমান রয়েছে।

গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হতে থাকায় পাহাড়ের মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন হচ্ছে

“তিন পার্বত্য জেলা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক উন্নয়ন” প্রকল্পের আওতায় ১৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এসব প্রকল্পের চুক্তি মূল্য ১৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। ৪টি প্রকল্পের কাজ চলমান আছে এবং ১১টি স্কীমের কাজ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

“গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ” প্রকল্পের আওতায় ২৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার চুক্তিমূল্য ৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ১৪টি কাজ চলমান আছে এবং সমাপ্ত হয়েছে ১১টি প্রকল্প।

“সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প” প্রকল্পের আওতায় ৯১টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ টাকা। ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে ৮৫টি এবং চলমান রয়েছে ৭টি প্রকল্পের কাজ।

“গ্রাম সড়ক পুর্নবাসন প্রকল্প” প্রকল্পের আওতায় ৮৪ লাখ টাকা চুক্তি মূল্যে একটি ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে।

“উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ” প্রকল্পের আওতায় ৩টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যার চুক্তিমূল্য ১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প সমাপ্ত হলেও বর্তমানে চলমান রয়েছে ২টি প্রকল্পের কাজ।

নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তালেব চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন, সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ভিশন-২০২১ এবং জাতিসংঘ প্রণীত সহস্রাব্দ উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনে এলজিইডি সমন্বিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। যার ফলে পাহাড়ের জনগণের আয় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, যা দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং অত্রাঞ্চলের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;