কুলের রাজ্য বনপাড়া, মৌসুমে বিক্রি অর্ধশত কোটি টাকা



নাইমুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
এক দশকের বেশি সময় ধরে গড়ে ওঠে কুলের অস্থায়ী বাজারটি, ছবি: বার্তা২৪.কম

এক দশকের বেশি সময় ধরে গড়ে ওঠে কুলের অস্থায়ী বাজারটি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এক দশকের বেশি সময় ধরে গড়ে ওঠা নাটোরের বনপাড়া অস্থায়ী বাজার এখন কুলের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এই বাজারেই মৌসুমে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার কুল ক্রয়-বিক্রয় করেন আড়তদার ও চাষিরা। প্রতি বছর এই বাজারে বিভিন্ন জাতের কুল বিক্রির পরিমাণ বাড়ছে। এতে মৌসুমে কয়েকশত মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এছাড়া মৌসুমি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও পাইকারি কিনে পার্শ্ববর্তী বাজারগুলোতেও কুল বিক্রি করছেন।

বনপাড়া-হাটিকুলরুল মহাসড়কের প্রবেশদ্বার নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাইপাস এলাকায় মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম এই কুলের বাজার। বাজারে অস্থায়ী সাতটি আড়ত এবং আশপাশের প্রায় ২০টি ঘরে পাইকারি কেনাবেচা হয় বিভিন্ন জাতের কুল। প্রতি মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে শুরু করে পরবর্তী বছরের মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা সাড়ে তিন মাস পর্যন্ত এই বাজারের ব্যাপ্তিকাল। মৌসুমের শুরু থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কুল এই বাজারে আসা শুরু হলেও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর কুল আসতে সময় লাগে আরও মাসখানেক।

বনপাড়া বাজারে বিভিন্ন প্রজাতির কুল পাওয়া যায়

কুলের এই বাজারে বিক্রি হয় প্রায় ১০টি জাতের কুল। এদের মধ্যে অন্যতম বাউকুল, চাইনিজ কুল, বার্মিজ কুল, আপেলকুল, কাশ্মীরীকুল, বলসুন্দরী কুল ও নারিকেলি কুল। প্রতি মণ বাউকুল ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাইনিজ কুল ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, বার্মিজ ১৪০০ টাকা, আপেলকুল ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা, কাশ্মীরি ২ হাজার ৬০০ টাকা, বলসু্ন্দরী ২ হাজার ৫০০ টাকা ও নারিকেলি ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক সময় শুধু নাটোরের চাষিদের উৎপাদিত কুল এ বাজারে বিক্রি হলেও এখন চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীরাও নির্ভর করছেন এই বাজারের ওপর। বাছাইকৃত বিভিন্ন জাতের কুল পর্যায়িতকরণ ও প্রমিতকরণের (বাছাই ও গ্রেডিং) মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অভিজাত সুপার শপে সরবরাহ করা হচ্ছে। আবাদ মৌসুমে এই বাজারে শুধু নাটোরে উৎপাদিত কুলই বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর ফলন ভালো হলে আরও প্রায় ২০ কোটি টাকার কুল বিক্রি বাড়ে এই বাজারে।

এ বাজারে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা বিক্রি হয়ে থাকে

সাভারের তেতুলঝোঁড়া ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম জানান, বনপাড়া বাজার দেশের সবচেয়ে বড় কুলের আড়ত। তাই এখান থেকে কুল কিনে তিনি বিক্রি করেন রাজধানী ঢাকায়।

প্রমিতকরণ শ্রমিক সাদ্দাম হোসেন জানান, কুল বাছাইয়ের পর তা দুটি গ্রেডে ভাগ করার জন্য দিনে ৩০০ টাকা মজুরি পান তিনি।

থ্রি স্টার ফলবিতানের স্বত্বাধিকারী গোলাম কিবরিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘মৌসুমে কোটি টাকার কুল কেনাবেচা হলেও আমাদের জন্য নির্ধারিত কোনো বাজার নেই। আমাদের দাবি কুলের জন্য একটা আলাদা বাজারের।’

সিংড়ার কালীগঞ্জের ব্যবসায়ী আকবর আলী বলেন, ‘হাইওয়ের পাশে ট্রাক দাঁড় করিয়ে কুল ওঠানামা করা খুবই দুরূহ। ভালো একটি জায়গা দিলে আমাদের কাজ সহজ হতো।’

কুল ব্যবসায়ীদের দাবি নির্দিষ্ট একটি বাজারের

বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন জুয়েল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বনপাড়ায় হাট-বাজারের সংখ্যা সীমিত হওয়ার কারণে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে কুলের ব্যবসা এখানে প্রতিষ্ঠিত হলেও অর্থ বরাদ্দ না থাকায় একটি কুল বাজার প্রতিষ্ঠায় এই মুহূর্তে কিছু করা সম্ভব না। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা ব্যবসায়ীদের দাবিটা পূরণের চেষ্টা করব।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;