মিরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে ১৪ বসতঘর পুড়ে ছাই

  • উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মিরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ১৪ বসতঘর

মিরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ১৪ বসতঘর

মিরসরাইয়ে ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের মহানন্দাবাদ, মাতাইয়া চৌধুরী বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে নগদ টাকাসহ প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- আবু সুফিয়ান, আইয়ুব খাঁন, শেখ ফরিদ, আজিজুল হক, মো. দিদারুল আলম, মিজানুর রহমান, ওয়ারেত উল্লাহ, মোহাম্মদ বাচ্চু, নুরনবী, হকসাহেব, শাহজাহান, বাদশা ও মো. হাসান।

ক্ষতিগ্রস্ত দিদারুল আলম বলেন, ‘হক সাহেবের ঘর থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়।’

বিজ্ঞাপন

ক্ষতিগ্রস্তরা শেখ ফরিদ জানান, আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তের মধ্যে পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। একে একে ১৪টি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ফ্রিজ, টিভি, মোবাইল, আসবাবপত্র, পাসপোর্ট, জায়গা জমির দলিলসহ প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

অগ্নিকাণ্ডে আরেক ক্ষতিগ্রস্ত আবু সুফিয়ান বলেন, ‘তিনি নতুন ঘর নির্মাণের জন্য রক্ষিত নগদ ৪ লাখ টাকা পুড়ে গেছে। ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পরিবারের সবাই দাওয়াতে ছিলেন। কিছুই রক্ষা করা যায়নি।’

অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

এ বিষয়ে ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার বলেন, ‘চোর ডাকাতে কতটুকু সম্পদ নিতে পারে। কিন্তু আগুনে কিছুই থাকে না। আমি বিষয়টি ইউএনও স্যারকে অবহিত করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য খারাপ লাগছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।’

এ বিষয়ে মিরসরাই ফায়ার স্টেশন ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। সময় মতো পৌঁছাতে না পারলে ওই বাড়ির অন্য ঘরগুলো রক্ষা করা সম্ভব হতো না।’

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর একটি তালিকা পাঠাতে বলেছি। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা করব।’