চাপ নেই দৌলতদিয়ায়
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট প্রায় এক মাস ধরেই ফাঁকা যাচ্ছে। যানবাহনের তেমন কোন চাপ না থাকায় নির্বিঘ্নে নদী পার হচ্ছে যানবাহনগুলো।
যানবাহনের চাপ একেবারেই না থাকায় অনেকটাই অলস সময় পার করছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরিগুলো। যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছে ফেরি। তবে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া প্রান্তে কিছুটা গাড়ির চাপ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে স্বল্প সংখ্যক গাড়ি নিয়েই ঘাট ছাড়তে হচ্ছে ফেরিগুলোর।
রোববার (১৫ মার্চ) বেলা ১১টায় সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। বেশ কিছুদিন আগেও যেখানে নদী পারের জন্য যানবাহনগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সেখানে এখন একদম ফাঁকা। নদী পারের জন্য আসা যানবাহনগুলো সরাসরি টিকিট নিয়ে উঠে যাচ্ছে ফেরিতে। অনেক সময় অপেক্ষা করে স্বল্প পরিমাণ গাড়ি নিয়েই ঘাট ছাড়ছে ফেরি। যেখানে বড় একটি ফেরিতে ১৫-১৮টি বড় গাড়ি নদী পার হতে পারে সেখানে যানবাহন না থাকায় ৭-৮টি গাড়ি নিয়েই ঘাট ছাড়তে হচ্ছে ফেরিগুলোকে।
প্রায় একমাস ধরে দৌলতদিয়া ঘাটের চিত্র এমনই। দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালেও নেই কোন যানবাহন। টার্মিনালে যে যানবাহনগুলো রয়েছে তা সবই আন্ত:জেলার। নদী পারের জন্য অপেক্ষায় থাকা কোন যানবাহনই নেই। পণ্যবাহী ট্রাকগুলোও সরাসরি উঠে যাচ্ছে ফেরিতে।
ঈগল পরিবহনের চালক রাব্বি হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা নিয়মিত ভাবে এই নৌরুটটি ব্যবহার করে থাকি। আগে নদী পার হতে গেলে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত মহাসড়কে অপেক্ষা করতে হয়েছে। কিন্তু আজ প্রায় মাসখানেক হলো ঘাটে কোনো যানজট নেই। নির্বিঘ্নে ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হতে পারছি। ঘাটে এসে পৌঁছালেই সরাসরি ফেরির নাগাল পাচ্ছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের শাখা ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বর্তমান দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৪টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছে। কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ঘাটে প্রায় মাসখানেক সময় ধরে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ নেই।
তাছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে গাড়ির চাপও তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। তবে পাটুরিয়াতে কিছুটা গাড়ির চাপ রয়েছে, এ কারণে অনেক সময় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে স্বল্প যানবাহন নিয়েই ফেরিগুলোকে ছেড়ে যেতে হচ্ছে।