টাঙ্গাই‌লে আইসোলেশন ইউনিটে নেই প্রশিক্ষিত চিকিৎসক

  • অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাই‌লে আইসোলেশন ইউনিটে নেই প্রশিক্ষিত চিকিৎসক

টাঙ্গাই‌লে আইসোলেশন ইউনিটে নেই প্রশিক্ষিত চিকিৎসক

বিদেশ ফেরত বা করোনাভাইরাস সন্দেহে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে খোলা হয়েছে আইসোলেশন ইউনিট। সেন্টারের তৃতীয় তলায় পাঁচ বেডের ওয়ার্ড তৈরি করে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে সেখানে নেই প্রশিক্ষিত চিকিৎসকসহ জনবল।

টাঙ্গাইলে রোববার (১৫ মার্চ) পর্যন্ত বিদেশ ফেরত করোনাভাইরাস সন্দেহে ৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৫ মার্চ) সরেজমিনে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের ট্রমা সেন্টার নামে পরিচিত ভবনে করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে। ভবনের তৃতীয়তলায় ৫টি বেড তৈরি করা হয়েছে। যদিও সেখানে কোনো আউটডোর খোলা হয়নি। সেখানে নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসক নিয়োজিত করা হয়নি। ফলে জ্বর, সর্দি-কাশি, হাঁচির রোগীদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগী জানান, সব ধরনের রোগীই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে অনেকের সর্দি-কাশি রয়েছে। কারো শরীরে করোনাভাইরাস বা কে বিদেশ ফেরত সেটা বুঝা যায় না।

বিজ্ঞাপন

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, আইসোলেশন ইউনিট খোলা হলেও সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক বা জনবল নেই। হাসপাতালে এমনিতেই চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এর মধ্যে আইসোলেশনে কমপক্ষে ৬ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন। এছাড়া যারা করোনাভাইরাসের চিকিৎসা দিবেন তারা প্রশিক্ষিত নয়। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য কিট ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য আলাদা পোশাকের প্রয়োজন।

আইসোলেশন ইউনিট বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সদর উদ্দিন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান বার্তা‌২৪.কম‌-কে বলেন, এখন পর্যন্ত বিদেশ ফেরত ৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। নিয়মিত তাদের বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। তবে করোনাভাইরাসের জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আলাদা কোনো বাজেট নেই। স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। তারপরও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জনসচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। করোনা নিয়ে আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই।