দগ্ধ সন্তানকে হাসপাতালে নেওয়ার গাড়ি ভাড়াও নেই!
পাঁচ বছরের শিশু সাথী। আর পাঁচটি শিশুর মতো নিজের বাড়ির উঠান আলোকিত করে রাখতো। ফুটফুটে সেই শিশুটি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ফাঁকা বাড়িতে অন্য শিশুদের সঙ্গে রান্নাবান্না খেলা খেলতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছে সে।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের পোতাহাটি গ্রামে। সাথীর মা কল্পনা খাতুন জানান, টাকার অভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য সাথীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছেন।
কিন্তু চিকিৎসা তো দূরের কথা সাথীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো গাড়ি ভাড়ার টাকাও তার বাবার কাছে নেই। বাধ্য হয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে গত পাঁচদিন ধরে পড়ে আছেন সাথীর বাবা-মা।
শিশু সাথী খাতুন পোতাহাটী গ্রামের আব্দুল হান্নান শেখের মেয়ে। ইঁদুরের ওষুধ বিক্রেতা আব্দুল হান্নানের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা। চার সন্তানের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ সাথী সবার ছোট।
আব্দুল হান্নান জানান, গত বুধবার ( ১১ মার্চ) ফাঁকা বাড়িতে খেলতে গিয়ে সাথীর জামায় আগুন লেগে যায়। আগুন নেভাতে গিয়ে আরো দুই শিশুর হাত পুড়ে গেছে। আগুনে সাথীর শরীরের এক-তৃতীয়াংশ পুড়ে যায়।
উন্নত চিকিৎসা করালে সাথী সুস্থ হয়ে উঠবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। কিন্তু টাকার অভাবে সাথীর চিকিৎসা হচ্ছে না। সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাথীর হতদরিদ্র পিতা আব্দুল হান্নান শেখ আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন।
যোগাযোগ:
শিশুটির পিতা আব্দুল হান্নান, মোবাইল নম্বর: ০১৯৬৬-৭৯৫৫৯৪
ভাই আল আমিন, বিকাশ নম্বর: ০১৯১২-০২৫৭৯০