শিশু তুহিন হত্যা মামলায় বাবা-চাচার মৃত্যুদণ্ড

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সুনামগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তুহিনের বাবা (বামে) ও শিশু তুহিন (ডানে)/ছবি: সংগৃহীত

তুহিনের বাবা (বামে) ও শিশু তুহিন (ডানে)/ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের দিরাই উপডজেলার কেজাউড়া গ্রামে আলোচিত শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডে বাবা ও চাচার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৬ মার্চ) সকালে এ রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান সিকদার। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হল শিশু তুহিনের পিতা আব্দুল বাছির ও আপন চাচা নাসির উদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

অপর দুই আসামি মাও.আব্দুল মোছাব্বির ও জামশেদ আলী’র বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে মুক্তি প্রদান করেন।

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় শিশু তুহিনের বাবা ও চাচা। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদকে (১৭) ৮ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। শাহরিয়ারের বয়স ১৮ বছরের হওয়ায় আদালত তাকে ৮ বছরের আটকাদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটনা ঘটে। ওই দিন সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের মরদেহ পাওয়া যায়। এসময় তুহিনের গলা, দুই কান ও যৌনাঙ্গ কাটা ছিল ও পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ছুরি।

এ ঘটনায় তুহিনেরমা মনিরা বেগম বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), চাচা নাসির উদ্দিন (৩৫), আবদুল মছব্বির (৪৫) ও জমসেদ আলী (৬০) এবং ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে গ্রেফতার করে। তুহিন হত্যা মামলায় গত ৩০ ডিসেম্বর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর আদালতে অভিযোগ গঠন হয় ৭ জানুয়ারি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর শামছুন নাহার বলেন, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা আরও বাড়বে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু।