সড়ক সংস্কার না হওয়ায় অকেজো ১০ সেতু

  • মো. জিয়াউর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দু’পাশের মাটি সরে যাওয়ায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে সেতু

দু’পাশের মাটি সরে যাওয়ায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে সেতু

সড়ক সংস্কার না হওয়ায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার একটি সড়কের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ১০টি সেতু। দু’পাশের মাটি সরে যাওয়ায় কোনো উপকারেই আসছে না সেতুগুলো।

সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। যানবাহন চলাচল না করায় পায়ে হেঁটেই তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। চলাচলে কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদেরও। এছাড়া হাওরের ফসল ঘরে তুলতেও স্থানীয় কৃষকদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর নির্মিত জেলার মদন উপজেলার বৈশ্যবাড়ি থেকে ফতেপুর দেওয়ানবাড়ি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার ওই সড়কটির মদন পৌর এলাকা অংশে কিছুটা পাকা করা হলেও অধিকাংশ সড়কই কাঁচা রয়ে গেছে। বিশেষ করে কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া ওই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ১০টি সেতু। সেতুগুলোর দুই পাশে মাটি না থাকায় সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই ওই সড়ক দিয়ে এলাকাবাসীকে যাতায়াত করতে হচ্ছে পায়ে হেঁটে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচন এলেই এলাকায় বেশি সময় দেন। কিন্তু নির্বাচন চলে গেলে তাদের আর তেমন একটা দেখা মেলে না। সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা কেউ শোনেন না।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার জানায়, প্রতিদিন পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। কিন্তু বৃষ্টি হলে সড়কের বিভিন্ন গর্তে পানি জমে কাদা সৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যালয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। দ্রুত সড়কটি পাকা করার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে এই শিক্ষার্থী।

সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভেোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের

স্থানীয় ফেকনী গ্রামের কৃষক মঈন উদ্দিন জানান, সেতুগুলোর দু’পাশে মাটি না থাকায় চাষাবাদ করার জন্য গরু নিয়ে হাওরে যেতে এবং হাওরের ফসল ঘরে আনতে খুবই কষ্ট করতে হয়। দীর্ঘদিনেও সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়কটির এ দুর্দশা। অচল সেতুর কারণে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

জরুরি প্রয়োজনে বাইসাইকেল, ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেলে চলাচল করতে গেলেও দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় বলে জানিয়েছেন একই গ্রামের বাসিন্দা তাইজুল ইসলাম মাস্টার।

এ নিয়ে কথা হলে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি সাধারণ মানুষের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দু’পাশে মাটি না থাকায় সড়কের সেতুগুলোও অকেজো হয়ে আছে। মানুষের সুবিধার্থে এ বিষয়ে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

মদন উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সড়কটি কয়েকটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সড়কে থাকা সেতুগুলোর দু’পাশের মাটি সরে গেছে।’

দীর্ঘদিনেও সড়কটির কোনো সংস্কার কাজ না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’