বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম নিয়ে ৭ ফুট দৈর্ঘ্যের বই



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩ ফুট প্রস্থের একটি কবিতার বই তৈরি করেছেন হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের এক দরিদ্র তরুণ। এই বইয়ের প্রস্থ, পৃষ্ঠা এবং ওজন নির্ধারণে করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও তার কর্ম-জীবনী হিসেবে। এমন উদ্যোগে আনন্দিত এলাকাবাসী। তবে বইটি বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে তুলে দেয়ার স্বপ্ন দেখছেন মুজিবপ্রেমী এই তরুণ।

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সুনারু গ্রামের তরুণ হিমাদ্রী দাশ রুবেল। বাবার মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা ও গল্প শুনে ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি অন্যরকম একটা ভালোবাসা জন্মায় তার মনে। বিভিন্ন সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন। জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে কিছু একটা করার আগ্রহ জাগে তার। এক পর্যায়ে ব্যতিক্রম এক কবিতার বই তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করেন এই বই তৈরির কাজ।

বইটিতে বঙ্গবন্ধু ও তার কর্ম-জীবনীর সঙ্গে রাখা হয়েছে বিশেষ মিল। যেমন বইটি করা হয়েছে ৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩ ফুট প্রস্থ। অর্থাৎ ১৫ থেকে আগস্ট মাস (৮ মাস) বাদ দিয়ে বইয়ের দৈর্ঘ্য করা হয়েছে ৭ ফুট। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের হিসেবে প্রস্থ করা হয় ৩ ফুট। জীবদ্দশার বঙ্গবন্ধু বেঁচে ছিলেন ৫৫ বছর। সে অনুযায়ী বইয়ে ৫৫টি পৃষ্ঠা করা হয়। ১৭ মার্চ জন্মদিনের তারিখ অনুযায়ী বইয়ের ওজন করা হয়েছে ১৭ কেজি। শতবর্ষ স্মরণে বইটিতে কবিতার সংখ্যা ১০০টি। আর বইটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা।

বইটির রচয়িতা হিমাদ্রী দাশ রুবেল বলেন- ‘ছোটবেলা থেকেই বাবার কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা শুনতাম। যে লোকটি আমাদেরকে একটি পতাকা, একটি দেশ উপহার দিয়েছেন, তার জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আর্থিক অভাবের কারণে কিছুই করা সম্ভব হয়নি। তাই তার স্বরণে এই বইটি তৈরি করেছি।’

তিনি বলেন- ‘আমার স্বপ্ন এই বইটি বঙ্গবন্ধু কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পৌঁছানোর। এজন্য আমি জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা চাই।’

হিমাদ্রী দাশ রুবেলের মা বিভা রাণী দাশ বলেন- ‘সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বই তৈরির কাজ যখন শুরু করে তখন আমরা বলতাম কি পাগলামি করে সারাদিন। কাগজ আর রং তুলি দিয়ে সারাদিন সময় নষ্ট করছে। পরে বুঝতে পারলাম সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভালো কিছু করতে চলেছে। তখন আমরাও তাকে সহযোগিতা করেছি।’

তিনি বলেন- ‘আমার সংসার খুব অভাবের। তাই বিভিন্ন সময় রং-কাগজ আনতে টাকা থাকতো না। পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার-দেনা করে বইটি তৈরি করেছে সে।’

সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন- ‘সে যে কাজটি করেছে সেটি খুব প্রশংসনীয়। এ কাজের জন্য আমরা এলাকাবাসী হিসেবে গর্ববোধ করছি। অনেক দরিদ্রতার মাঝেও সে নিজে কষ্ট করে টাকা সংগ্রহ করে এই বইটি তৈরি করেছে।’

বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন- ‘ছেলেটির পরিবার খুবই দরিদ্র। তবুও সে বঙ্গবন্ধুর জন্য এত বড় একটি বই তৈরি করেছে। এটা সত্যি প্রশংসনীয়। আমরা চাই তার স্বপ্ন পূরণ হোক। তার কষ্টের ফসল এই বইটি সে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে যেন তুলে দিতে পারে।’

হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান বলেন- ‘দারিদ্রতার মাঝেও বঙ্গবন্ধুর প্রতি এমন ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ। এই ছেলেটি দরিদ্র হওয়ার পরও যা করেছে তা প্রশংসনীয়।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;