বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে জানার এ যেন এক জ্ঞানভান্ডার
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । বহু ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা । আর তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস জানার আগ্রহের কমতি নেই কোটি ভক্তের। এজন্যই গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া সমাধি কমপ্লেক্সে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ লাইব্রেরি ও জাদুঘর। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে জানার এ যেন এক বিশাল জ্ঞানভান্ডার।
২০০১ সালে লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে এতে প্রায় ৮ সহস্রাধিক বই রয়েছে। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে রয়েছে ৩১০ জন লেখকের ২ সহস্রাধিক বই। এছাড়াও জ্ঞানের ১০ ধরনের প্রায় সব বই এখানে পাওয়া যায়।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণগ্রন্থাগারের নিয়ন্ত্রণাধীন এ লাইব্রেরি কোলাহলমুক্ত আর নিরিবিলি পরিবেশে রয়েছে বই পড়ার সুব্যবস্থা, রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও সিসি ক্যামেরার আওতায় প্রবীণ ও শিশু কর্নার। এছাড়াও এখানে পাঠকদের জন্য রয়েছে ৬টি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সেবা। প্রতিদিনই এই লাইব্রেরিতে বই পড়তে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। দেশ-বিদেশের বঙ্গবন্ধুপ্রেমীরা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি এখানে এসে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে লেখা বিভিন্ন বই পড়েন । এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বই পড়তে এখানে আসে নিয়মিতই।
বঙ্গবন্ধুকে জানার আরেক জ্ঞানভান্ডার সমাধি কমপ্লেক্স জাদুঘর। এখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পারিবারিক, রাজনৈতিক ও ধারাবাহিক জীবনের অসংখ্য ছবি, বঙ্গবন্ধু এবং তার পিতা লুৎফর রহমানের কফিন বক্স, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকার কাটিং এবং সমাধি কমপ্লেক্সের নকশা। বিভিন্ন বয়সের বঙ্গবন্ধু ভক্তরা ঘুরে ঘুরে অনুভব করেন জাতির পিতার জীবনী।
আশিকুর রহমান নামে এক পাঠক জানান, এখানে এসে বই পড়তে খুব ভালো লাগে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিভিন্ন বই এখানে এসে পড়ে থাকেন বলে জানান।
ইউনুস আলী খান নামে আরেক পাঠক জানান, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হলে এখানে আসা দরকার । বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই পড়ে তার সম্পর্কে গভীরভাবে অনুভব করা যায়।
গ্রন্থাগারকর্মী কামরুজ্জামান নাঈম জানান, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানার আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । এখানে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস সম্পর্কে অনেক বই রয়েছে এবং বই পড়ার উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে । তাই প্রতিদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন বয়সের পাঠকরা এখানে এসে বই পড়েন। আমি চাই এখানে এসে বই পড়ে সবাই জাতির পিতার জীবনী এবং জীবনাদর্শ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করুক।