বিদেশ ফেরত ৪ হাজার জনকে খুঁজছে ফরিদপুর স্বাস্থ্য বিভাগ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং

ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং

ফরিদপুরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব রোধে ৩ হাজার ৯৯৩ জন বিদেশ ফেরত যাত্রীর তালিকা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যাদের স্বউদ্যোগে সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টিন) থাকার কথা থাকলেও তারা সে নির্দেশ মানছেন না।

গত ১ মার্চ হতে ১৫ মার্চ পর্যন্ত এরা বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছেন যাদের বেশিরভাগই ভারত থেকে দেশে এসেছেন। এসব বিদেশ ফেরত লোকদের খুঁজে খুঁজে সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টিন) রাখা হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, ইমিগ্রেশন পুলিশের তরফ হতে ফরিদপুরের স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিকট এই তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে। এদেরকে সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টিন) রাখার নির্দেশনা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক করোনা নিয়ে আতঙ্ক না ছড়িয়ে যার যার অবস্থান হতে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এএসএস আলী আহসান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কার্তিক চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত ২২ জন বিদেশ ফেরত যাত্রী স্বউদ্যোগী হয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। যারা সকলেই নিজ উদ্যোগেই সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টিন) রয়েছেন। এদের মধ্যে শহরের ঝিলটুলীর তিনজন ইতোমধ্যে সংক্রমণ ঝুঁকির সময়সীমা অতিক্রম করায় তাদেরকে মুক্তভাবে চলাফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জেলা শহরের বাইরে এখন পর্যন্ত চরভদ্রাসন উপজেলায় ১০ জন সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টিন) রয়েছেন।

গত ২৫ জানুয়ারি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গের রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে পাঁচটি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসার সবচেয়ে বেশি সুযোগ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বরাদ্দ দেওয়া হলেও জ্বর কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কোনো রোগী ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এলেও তাকে ভর্তি করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত মঙ্গলবার রাতে এসব উপসর্গ নিয়ে এক রোগী ওই হাসাপাতালে গেলে তাকে ভর্তি করা হয়নি। হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে ওই রোগী ফরিদপুরের সিভিল সার্জনের মাধ্যমে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, এ জাতীয় রোগী এলে তাদের ভর্তি তো না করার কথা নয়। বিষয়টি আমার পর্যন্ত আসেনি। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবো। তিনি বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডটি খোলা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো রোগী ভর্তি হয়নি।