নিম্নমানের কীটনাশকে সয়লাব চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের মৌসুমকে কেন্দ্র করে চাষিদের মধ্যে বেড়েছে ব্যস্ততা। রোগ বালাই রোধে গাছে ছিটানো হচ্ছে সার-বিষসহ বিভিন্ন কীটনাশক।
এরই মাধ্যে আম মৌসুমকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট। তারা বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কে সরবরাহ করছে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের কীটনাশক। সহজ সরল কৃষকদের প্রলোভন দেখিয়ে এসব কীটনাশক বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা ।
সম্প্রতি স্থানীয় কৃষিবিভাগের অভিযানে কয়েকটি কোম্পানির কীটনাশক জব্দও করা হয়েছে।
বিনোদপুর এলাকার আম চাষি একরামুল হক জানান, একজন সিএনজি চালক একটি কোম্পানির সিলেক্ট প্লাস কীটনাশক সরবরাহ করে। যা ছত্রাকনাশক কাজে ব্যবহার করা হয়। বোতলটির লেভেলে মূল্য লেখা রয়েছে ১৮শ টাকা। ওই একটি বোতলের দাম নেয়া হয়েছে ১৫শ টাকা।
তিনি আরও জানান, এসব ভেজাল কীটনাশক বাগানে প্রয়োগ করে কোনো উপকার পাওয়া যায়নি। উল্টো বাসা বেধেছে আরও ছত্রাক ও পোকা মাকড়ের।
এমন অভিযোগ করেছেন কানসাট এলাকার আম চাষি সফিকুল, ওবাইদুর রহমানসহ আরও অনেকে। তারা আম মৌসুমে এসব প্রতারক চক্রের সিন্ডিকেট বন্ধে স্থানীয় কৃষি বিভাগের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম আমিনুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি বেশ কিছু অভিযান চালিয়ে অবৈধ ও নিম্নমানের ভেজাল কীটনাশক জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি প্রতারক চক্র সম্প্রতি নওগাঁ ও এর আশপাশ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসব কীটনাশক সরবরাহ করে আসছে। আর তাদের সহযোগিতা করছে এখানকার কিছু অসাধু সার ডিলার ব্যবসায়ীরা। ভেজাল ও নিম্নমানের কীটনাশক বন্ধে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নজরদারি বাড়াতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।